অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইউক্রেন একদিন রাশিয়ার অংশ হয়ে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ফ্রন্টলাইনগুলোতে যখন রাশিয়ার সেনাবাহিনীর অগ্রাভিযান চলছে তখন এ মন্তব্য করলেন ট্রাম্প।
তিনি ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আরো বলেছেন, “[যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য] ইউক্রেন একটি যুক্তি করতে পারে আবার নাও করতে পারে। দেশটি কোনো একদিন রাশিয়ার অংশ হয়ে যেতে পারে, আবার রাশিয়ার অংশ না-ও হয়ে যেতে পারে।”
ব্যবসা থেকে রাজনীতিতে উঠে আসলেও ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি ত্যাগ করতে পারেননি ট্রাম্প। তিনি সাক্ষাৎকারে আরো বলেছেন, বিগত বছরগুলোতে আমেরিকা ইউক্রেনকে যে অপরিসীম সাহায্য দিয়েছে কিয়েভকে তার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ইউক্রেন কীভাবে সেই অর্থ ফেরত দেবে তার পথও বাতলে দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, “দেশটিতে রয়েছে পৃথিবীর উর্বরতম কৃষিজমি, তেল ও গ্যাস সম্পদসহ আরো অনেক সম্পদ। কাজেই আমি আমাদের অর্থ ফেরত চাই।” ইউক্রেন সরকার ওয়াশিংটনকে ক্ষতিপূরণ দিতেও সম্মত হয়েছে বলে দাবি করেন এই স্পষ্টভাষি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্পের পূর্বসূরি জো বাইডেন গত প্রায় তিন বছরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য ইউক্রেনকে হাজার হাজার কোটি ডলারের সমরাস্ত্র দিয়েছেন। তখন প্রশাসনের বাইরে থাকলেও জাত ব্যবসায়ী ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রতি এভাবে আমেরিকার অর্থ ও অস্ত্রের ভাণ্ডার খুলে দেয়ার বিরোধিতা করে বক্তব্য দিতেন।
চলতি সপ্তাহে ওয়াশিংটনে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে এবং তার আগে ট্রাম্প এসব কড়া কথা বললেন। তিনি আরো দাবি করেছেন, কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠানের ব্যাপারে ‘অসাধারণ অগ্রগতি’ অর্জিত হয়েছে।
এদিকে ট্রাম্পের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, পূর্ব ইউক্রেনের রুশ-ভাষাভাষি দোনবাস অঞ্চলের জনগণ এরইমধ্যে রুশ ফেডারেশনে যুক্ত হয়েছে এবং দেশটির আরো বহু এলাকা এই ফেডারেশনে যুক্ত হতে চায়। তিনি বলেন, ইউক্রেনের পরিস্থিতি বহুলাংশে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বক্তব্যকেই প্রতিফলিত করে।
Leave a Reply