শহীদ নাসরুল্লাহ ও শহীদ সাফি উদ্দিন
অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : লেবাননের হিজবুল্লাহর সাবেক মহাসচিব শহীদ সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহর জানাজা ও শেষ বিদায় অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটি ঘোষণা করেছে, এই অনুষ্ঠানে বিশ্বের বহু দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।
আয়োজক কমিটির প্রধান আলী দাহের বলেছেন, আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি এক ঐতিহাসিক দিন। এদিন হিজবুল্লাহর সাবেক দুই মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ ও সাইয়্যেদ হাশেম সাফিউদ্দিনের শেষ বিদায় অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। এই দিনটি তরবারির উপর রক্তের বিজয়ের ক্ষেত্রে আরো একটি প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে। এই দুই নেতার শাহাদাত ভবিষ্যতেও বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
পার্সটুডে জানিয়েছে, আলী দাহের বলেছেন, ২৩ ফেব্রুয়ারি হচ্ছে মজলুমদের নেতার প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শনের দিবস।
তিনি বলেন, “হিজবুল্লাহর নেতৃত্ব এই দুই শহীদের জানাজা ও শেষ বিদায় অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন করতে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রধান কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার মধ্যে ১০টি বিশেষায়িত কমিটি থাকবে। এই আয়োজনের স্লোগান হচ্ছে ‘আমি আমার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করব’। এর অর্থ হচ্ছে আমরা আমাদের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত শহীদ নেতার সম্মান বজায় রাখব।
শেখ আলী দাহের আরও বলেন, লেবাননের রাজধানী বৈরুতের ‘কামিল শামুন’ স্টেডিয়ামে মূল অনুষ্ঠান হবে। অতিথিদের জন্য এটিই উপযুক্ত স্থান। অনুষ্ঠান প্রায় এক ঘন্টা স্থায়ী হবে এবং অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে হিজবুল্লাহ মহাসচিব শেখ নায়িম কাসেমের বক্তৃতা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
লেবাননের এই হিজবুল্লাহ কর্মকর্তা আরও বলেন: “আমন্ত্রণপত্র পাঠানো এবং আনুষ্ঠানিক বিষয়গুলোর জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটি এই অনুষ্ঠানে বিশ্বের প্রায় ৭৯টি দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি আশা করছে। বিভিন্ন সরকারি প্রতিনিধিদলের পাশাপাশি গণ-প্রতিনিধিদলও এতে অংশ নেবেন।”
গাজায় এক বছর ধরে অপরাধযজ্ঞ চালানোর পর ২০২৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর লেবাননের হামলা জোরদার করে দখলদার ইসরাইল। এর দক্ষিণ বৈরুতের দাহিয়া এলাকায় বোমা হামলা চালিয়ে লেবাননের হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহকে শহীদ করে।
এরপর ৩ অক্টোবর হিজবুল্লাহর নির্বাহী পরিষদের প্রধান এবং সাইয়্যেদ হাশেম সাফি উদ্দিনও বৈরুতে ইসরাইলি বিমান হামলার শিকার হন এবং শাহাদাৎবরণ করেন।#
Leave a Reply