অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আমেরিকার ম্যাগাজিন ফরেন পলিসি, মানবাধিকারের ক্ষেত্রে আমেরিকার দ্বিমুখী নীতি এবং গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদীদের নৃশংস অপরাধযজ্ঞের বর্ণনা তুলে ধরতে গিয়ে বলেছে যে গাজা যুদ্ধে ‘মানবতা’ সম্পর্কে পশ্চিমাদের দাবির অসরতা প্রমাণিত হয়েছে।
পশ্চিমা গণতন্ত্রের মৃত্যু নিয়ে ফরেন পলিসির প্রবন্ধটি এই বাক্যগুলি দিয়ে শুরু হয়: স্কুলে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বোমা হামলায় আহত তার মেয়েকে পুড়ে মারা যাবার দৃশ্য দেখে একজন মায়ের চিৎকার শুনে আমরা বুঝতে পারি যে, এই যুগে কোন নিশ্চয়তা নেই যে সাম্প্রতিক মাসগুলিতে আমরা যে নৃশংস ও অনৈতিক দৃশ্য দেখেছি তার পুনরাবৃত্তি হবে না এবং আন্তর্জাতিক আইনও এ ধরণের ঘটনা রোধ করতে পারবে না। মেহের নিউজ এজেন্সির উদ্ধৃতি দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, লেখক তার এই প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন: পশ্চিমা অস্ত্র ও ডলারের সাহায্যে ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজার জনগণের বিরুদ্ধে ইসরাইলের ধ্বংসযজ্ঞ ও গণহত্যার মাধ্যমে ২০ লাখেরও বেশি মানুষের উপর আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকট চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।
ফিলিস্তিনিদের হয় মরতে হবে নয়তো ইসরাইলের পালানোর যেকোনো বিকল্প খুঁজতে হবে : ইসরাইলি কর্মকর্তারা হামাসের মোকাবেলায় নিজেদের আত্মরক্ষার অধিকারের দাবি করেছিলেন; কিন্তু বাস্তবতা হলো, তারা পুরো গাজা উপত্যকাকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলতে চেয়েছিল এবং এই এলাকার বাসিন্দাদের এমন পরিস্থিতিতে ফেলতে চেয়েছিল যেখানে তারা হয় মারা যাবে, নয়তো পালানোর বিকল্প পথ খুঁজবে।
আমরা গাজার বাসিন্দাদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হতে দেব না স্পেন : গাজার বাসিন্দাদের জোরপূর্বক অন্য দেশে স্থানান্তরিত করার ট্রাম্পের পরিকল্পনার ব্যাপারে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানোর পাশাপাশি, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ এই পরিকল্পনার সমালোচনা করে বলেছেন: “মাদ্রিদ এমন কিছু হতে দেবে না।”
সম্প্রতি, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে এক বৈঠকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তর এবং সেখানে আমেরিকার সেনাবাহিনী মোতায়েরে পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন। ট্রাম্পের এ পরিকল্পনা মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তীব্র প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হয় এবং এটাকে “জাতিগত নির্মূল” ও “জেনেভা কনভেনশনের স্পষ্ট লঙ্ঘন” হিসাবে বর্ণনা করেছে।
ট্রাম্পের ফিলিস্তিনবিরোধী পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ব্রিটিশ জনগণের বিক্ষোভ : ব্রিটিশ জনগণ গত শনিবার, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে মার্কিন দূতাবাস পর্যন্ত একটি বিশাল মিছিল বের করে, গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক উচ্ছেদের ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনার নিন্দা জানায় এবং ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিরোধের প্রতি তাদের সমর্থন ঘোষণা করে। বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা “গাজা বিক্রির জন্য নয়” এবং “ফিলিস্তিন টিকে থাকবে এবং প্রতিরোধ চালিয়ে যাবে” প্রভৃতি স্লোগান দেয়। এ ছাড়া “ফিলিস্তিনকে মুক্ত করো,” “ইসরাইলি দখলদারিত্বের অবসান ঘটাও” এবং “ইসরায়েলে অস্ত্র পাঠানো বন্ধ করো” এই থিম সম্বলিত প্ল্যাকার্ড ধরে ইহুদিবাদী ইসরাইলের অপরাধ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপকামী নীতির বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান ঘোষণা করে।
Leave a Reply