অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইরানের তেল বাণিজ্যের সাথে যুক্ত ৩০ জনেরও বেশি ব্যক্তি এবং জাহাজকে ওয়াশিংটন কালো তালিকাভুক্ত করার পর বুধবার এই নতুন নিষেধাজ্ঞাকে ‘শত্রুতার স্পষ্ট লক্ষণ’ হিসেবে অভিহিত করে এর নিন্দা জানিয়েছে ইরান। তেহরান থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
জাতীয় তেল কোম্পানির প্রধান এবং তেল বিক্রিতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিয়োজিত অভিযুক্তদের লক্ষ্য করে সোমবার ওয়াশিংটন নতুন এই পদক্ষেপের ঘোষণা দেয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরানের ওপর তার ‘সর্বোচ্চ চাপ’ নীতি পুনর্বহাল করার পর এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে এটি ছিল নিষেধাজ্ঞার দ্বিতীয় ধাপ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকাই বলেন, নিষেধাজ্ঞাগুলো ‘ইরানের মহান জনগণের কল্যাণ, উন্নয়ন এবং সুখের প্রতি আমেরিকান নীতিনির্ধারকদের শত্রুতার সুস্পষ্ট লক্ষণ।’
এক বিবৃতিতে তিনি এই পদক্ষেপগুলোকে ‘ইরানি জনগণের মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী একটি ভুল, অযৌক্তিক, অবৈধ কাজ’ বলে অভিহিত করেছেন।
জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর ট্রাম্প ইরানের সাথে সংলাপের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ইরানকে তিনি একটি ‘মহান ও সফল দেশ’ হিসেবে দেখতে চান।
তবে সোমবার, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি ‘চাপ, হুমকি বা নিষেধাজ্ঞার’ অধীনে তার দেশের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ওয়াশিংটনের সাথে সরাসরি আলোচনার সম্ভাবনা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে, ওয়াশিংটন ২০১৫ সালের ঐতিহাসিক চুক্তি থেকে সরে আসে, যেখানে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
২০১৮ সালে ট্রাম্প প্রশাসন পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর, তেহরান ধীরে ধীরে তার পারমাণবিক প্রতিশ্রুতি প্রত্যাহার করে নেয়।
নভেম্বরে ট্রাম্প পুনরায় ক্ষমতা গ্রহনের পর ইরান সোমবার ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির সাথে নতুন করে পারমাণবিক আলোচনা করেছে। ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজেম ঘরিবাদি মঙ্গলবার বলেছেন, তিন সপ্তাহের মধ্যে ইউরোপীয়দের সাথে আরও এক দফা আলোচনার আশা করা হচ্ছে।
Leave a Reply