অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকায়ি আবারও গাজা এবং পশ্চিম তীর থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির বিরোধিতা করেছেন।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গাজা এবং পশ্চিম তীর থেকে ফিলিস্তিনিদেরকে জোরপূর্বক অন্যত্র স্থানান্তরের পরিকল্পনার বিরোধিতা করে বলেছেন, “গাজা এবং পশ্চিম তীর থেকে ফিলিস্তিনিদেরকে জোরপূর্বক অন্যত্র স্থানান্তরের পরিকল্পনা জাতিগত নিধন ছাড়া আর কিছু নয়।” পার্সটুডে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইসমাইল বাকায়ি গাজায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের অপরাধের কথা উল্লেখ করে বলেন, “দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি এবং পানি সরবরাহ বন্ধ করে গাজায় গণহত্যা অব্যাহত রাখা হয়েছে।”
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইহুদিবাদী ইসরাইলের সাথে সব ধরণের আর্থিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে সব সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার পরিকল্পনার নিন্দা জানালো মালয়েশিয়া : মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাজি মুহাম্মদ বিন হাজি হাসান জেদ্দায় ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসি’র পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে ঘোষণা করেছেন, বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার এবং গাজাকে ইসরাইলের সঙ্গে সংযুক্ত করার পরিকল্পনার নিন্দা করতে হবে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে সমন্বয় করে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসি গাজা, লেবানন ও সিরিয়ার মতো যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ও অঞ্চলগুলোর পুনর্গঠনের জন্য একটি বিস্তৃত পরিকল্পনা উপস্থাপন করতে পারে।
হাজি হাসান ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তর এবং গাজাকে ইসরাইলের সাথে সংযুক্ত করার পরিকল্পনাকে একটি অবাস্তব পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন যা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। তিনি জোর দিয়ে বলেন, মালয়েশিয়া সব সময় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলি আগ্রাসন এবং ফিলিস্তিন, লেবানন ও সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ করার জন্য তেল আবিবের প্রচেষ্টার নিন্দা জানায়। একই সঙ্গে বহুপাক্ষিকতা, আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘের ব্যবস্থাকে সম্মান জানাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।#