July 1, 2025, 12:29 pm
শিরোনামঃ
স্বৈরাচারের লক্ষণ দেখামাত্রই বিনাশের প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচনী বাজেট বরাদ্দে কার্পণ্য নয় : অর্থ উপদেষ্টা জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি খালেদা জিয়া শাহজালাল বিমানবন্দরে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু কুষ্টিয়ায় ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে কৃষককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ শরীয়তপুরে সাত দিনব্যাপী বৃক্ষমেলা শুরু সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করল পাকিস্তান নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন ইলন মাস্ক ফোন কল ফাঁসের জের ধরে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বরখাস্ত
এইমাত্রপাওয়াঃ
আমাদের সাইটে নতুন ভার্ষনের কাজ চলছে সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

রংপুরে অর্থাভাবে সেতুর নির্মাণ কাজ বন্ধ ; দুর্ভোগে পাঁচ গ্রামের মানুষ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক রংপুরের কাউনিয়ায় মরা তিস্তা নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতুর কাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় পাঁচ গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। সেতুর খুঁটি নির্মাণের চার বছর পেরিয়ে গেলেও অর্থাভাবে সেতুর অবশিষ্ট নির্মাণ কাজ একই অবস্থায় পড়ে আছে। এতে করে চরাঞ্চলের বিচ্ছিন্ন জনপদ চর চতুরা, মায়ার চর, চর উত্তর ঠাকুর দাশ, চর পল্লীমারী ও চর নাজিরদহের বাসিন্দারা উপজেলা সদর ও হারাগাছ পৌর এলাকায় সহজে যাতায়াত করতে পারে না।

হারাগাছ পৌরসভার প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিচ্ছিন্ন জনপদ চর চতুরা, মায়ার চর, চর উত্তর ঠাকুর দাশ, চর পল্লীমারী ও চর নাজিরদহের বাসিন্দারা এ রাস্তা দিয়ে বাংলাবাজার হয়ে পৌরসভাসহ উপজেলা সদরে যাতায়াত করে। তাদের সুবিধার্থে হারাগাছ পৌরসভার দক্ষিণ ঠাকুর দাস গ্রামের মস্তের পাড় নামক স্থানে মরা তিস্তায় ৭৬ মিটার দীর্ঘ সেতুটি নির্মাণের পরিকল্পনা করে পৌর কর্তৃপক্ষ। উন্নয়ন তহবিলের অর্থায়নে কয়েক ধাপে সেতুটি নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। ২০১৯ সালে প্রথম দরপত্রে প্রায় ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটির একাংশ নির্মাণের জন্য কার্যাদেশ পায় মেসার্স মামুন কনস্ট্রাকশন। প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালে ৮০ ভাগ কাজ করে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখে। এরপর ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে দ্বিতীয় দরপত্রে প্রায় ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুর স্লাব, বিম ও রেলিং নির্মাণের কাজ পায় নুর ইসলাম এন্টারপ্রাইজ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি ২০২১ সালে ৫০ ভাগ নির্মাণ কাজ শেষ করে। পৌর কর্তৃপক্ষ অর্থ বরাদ্দ দিতে না পারায় চার বছরেও দরপত্রের অবশিষ্ট নির্মাণ কাজ শুরু করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

নুর ইসলাম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী নুর আলম লাভলু বলেন, নির্মাণাধীন সেতুটির নির্মাণ কাজের কোন ডিজাইন নেই এবং কাজের প্রাক্কলন (এস্টিমেট) অনুযায়ী বরাদ্দকৃত অর্থের মিলও ছিল না। এছাড়া বিশেষ করে ওইসময় পৌর কর্তৃপক্ষ অর্থ পরিশোধে খুবই ঝামেলা করতো। এ কারণে আমরা (ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান) দরপত্রের অর্ধেক কাজ করে বাকি কাজ করা বন্ধ রেখেছি।

সরেজমিনে দেখা যায়, মরা তিস্তা নদীতে সেতুর খুঁটিগুলো দাঁড়িয়ে আছে। স্থানীয় লোকজন জানান, গত চার বছর ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে। নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় চরাঞ্চলের লোকজন বর্ষা মৌসুমে কলার ভেলা ও নৌকায় করে নদী পারাপার হয় এবং শুকানো মৌসুমে নদীতে হাঁটু পানি-কাদা মাড়িয়ে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে।

ঠাকুরদাশ এলাকার বাসিন্দা কাজল আহমেদ বাসসকে বলেন, চরাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল মরা তিস্তার ওপর সেতু নির্মাণের। সেতুটি নির্মাণের কাজ শুরুর পর কিছু কাজ করে দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় লোকজন বর্ষাকালে কলার ভেলা ও ডিঙি নৌকায় করে পারাপার হয়। বিশেষ করে স্কুল,কলেজ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কলার ভেলা ও ডিঙি নৌকায় পারাপার হয়। কৃষি পণ্য পরিবহনেও কৃষকদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

নদীর উত্তর প্রান্তে শাঁখারীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মাহাবুল ইসলাম বলেন, সেতু নির্মাণ না হওয়ায় পাঁচ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগের অন্ত নেই। কেউ অসুস্থ হলে তাকে সময়মতো হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না।

শাঁখারি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার বলেন, ডিঙি নৌকায় করে, আবার কখনো কখনো কলার ভেলায় করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের স্কুলে যেতে হয়। কলার ভেলা থেকে পরে গিয়ে অনেক সময় বই খাতা পোশাক ভিজে যায়। সেদিন আর স্কুলে পৌঁছাতে পারি না।

হারাগাছ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. হামিদুর রহমান বলেন, বিচ্ছিন্ন জনপদ চরাঞ্চলের সাথে জেলার মূল ভূখণ্ডের যোগাযোগ সহজ করতে জনস্বার্থে ঠাকুরদাশ মস্তের পাড় এলাকায় সরকারি উন্নয়ন তহবিলের অর্থায়নে কয়েকটি ধাপে মরা তিস্তা নদীর ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে । প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে দরপত্র অনুযায়ী সেতুর পিলার, পায়ারক্যাপ ও এবার্টম্যান নির্মাণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সেতুটির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করতে ১০টি স্লাব, রেলিং ও দুইপাড়ে প্রায় ১২০ মিটার অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু এ অর্থ বরাদ্দ না থাকায় কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। পৌর অর্থায়নেও সেতুটির অবশিষ্ট নির্মাণ কাজ শেষ করা সম্ভব নয়। সরকারিভাবে অর্থ বরাদ্দ চেয়ে ঢাকায় যোগাযোগ চলছে। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পেলে দরপত্রের মাধ্যমে বাকি কাজ শেষ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও হারাগাছ পৌর প্রশাসক মো. মহিদুল হক বাসসকে বলেন, আমি সবেমাত্র দায়িত্ব নিয়েছি। খোঁজ নিয়ে সেতু নির্মাণ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারবো।

আজকের বাংলা তারিখ

July ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Jun    
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  


Our Like Page