অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ ও সমন্বয় বিষয়ক উপপ্রধান অ্যাডমিরাল হাবিবুল্লাহ সাইয়ারি বলেছেন, ন্যাটো ও আমেরিকার সাহায্য ছাড়া ইহুদিবাদী ইসরায়েলের যুদ্ধ করার কোনো শক্তি-সামর্থ্য নেই।
ইরনার বরাতে পার্স টুডে জানিয়েছে, অ্যাডমিরাল হাবিবুল্লাহ সাইয়ারি আরও বলেছেন, ইসরায়েলি শাসনযন্ত্রের যুদ্ধের ক্ষমতা ন্যাটো ও আমেরিকার সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। অতীতের মতো বর্তমানেও বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদী শক্তি আমাদের শত্রু পক্ষ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। আমাদের জন্য এটা গর্বের যে, আমরা যদি যুদ্ধ করি, তাহলে সেই যুদ্ধ বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে, সেটা ছোটখাটো শত্রুদের বিরুদ্ধে নয়।
অ্যাডমিরাল সাইয়ারি ৮ বছরের পবিত্র প্রতিরক্ষা যুদ্ধ এবং ১২ দিনের যুদ্ধ প্রসঙ্গে বলেন, উভয় যুদ্ধেই শত্রুর লক্ষ্য ছিল ইসলামী বিপ্লবকে ধ্বংস করা এবং দেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতাকে আঘাত করা। শত্রু উভয় ক্ষেত্রেই নিজের এজেন্টদের ব্যবহার করেছে—একবার সাদ্দামকে এবং আরেকবার ইসরায়েলি শাসনযন্ত্রকে। দুই যুদ্ধেই শত্রুর হাতে সব ধরনের সামরিক ও লজিস্টিক সহায়তা তুলে দেওয়া হয়েছিল। যেমন সেই সময় প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সাদ্দামের পাশে দাঁড়িয়েছিল, আজ ন্যাটো ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তি দখলদার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পাশে দাঁড়িয়েছে। উভয় চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধেই বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদ সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছে।
ইরানি সেনাবাহিনীর সমন্বয় বিষয়ক উপপ্রধান আরও বলেন, আমরা যেমন গত ৪৫ বছর ধরে সগর্বে দাঁড়িয়ে আছি, তেমনি ভবিষ্যতেও থাকব। আমরা জীবন ও রক্ত দিতেও দ্বিধা করব না, ইরানের ক্ষতি করার স্বপ্ন অপূর্ণ রেখেই শত্রুকে কবরস্থ হতে হবে।
৮ বছরের প্রতিরক্ষা যুদ্ধ ইরানের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ টার্নিং পয়েন্টঅ্যাডমিরাল সিয়ারি আরও বলেন, ৮ বছরের পবিত্র প্রতিরক্ষা যুদ্ধ ইরানি জাতির ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ টার্নিং পয়েন্ট। তিনি আরও বলেন, গত ২৫০ বছরের ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, প্রত্যেক যুদ্ধে ইরানের কোনো না কোনো অংশ বিছিন্ন হয়েছে। এটি প্রতিরক্ষা জাদুঘরের মানচিত্রেও প্রদর্শিত হয়েছে, যেখানে স্পষ্ট বোঝা যায়, কীভাবে বিভিন্ন সময়ে দেশের অংশবিশেষ অন্যদের হাতে চলে গেছে। কিন্তু একমাত্র যে যুদ্ধে দেশের এক ইঞ্চি ভূখণ্ডও হারাতে হয় নি, তা হলো ৮ বছরের পবিত্র প্রতিরক্ষা যুদ্ধ।