ফারুক আহমেদ, মাগুরা : মাগুরা গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলাম জানেন না তার নড়াইল জেলায় শরীফা খানমের সাথে বিয়ে হয়েছে। রাকিবুল ইসলাম জানান, বিয়ে কিভাবে হলো এটা আমার জানা নেই?
মাগুরা গণপূর্ত বিভাগ অফিসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অফিস কর্মচারী জানান, রাকিবুল ইসলাম আমাদের অফিসের বেশ কয়েকজন স্টাফের কাছে বিয়ের কথা বলে মেয়ে দেখার কথা বলে ছিল, তার চরিত্রগত সমস্যা আছে।
অভিযুক্ত ওই প্রকৌশলীর নাম মোঃ রাকিবুল ইসলাম। তিনি যশোর জেলার বাঘারপাড়া থানার নারিকেলবাড়িয়া এলাকার পাঁচবাড়িয়া গ্রামের মোঃ জালাল উদ্দীনের পুত্র এবং বর্তমানে মাগুরা গণপূর্ত বিভাগে উপসহকারী প্রকৌশলী পদে কর্মরত আছেন। অপরদিকে ভূক্তভোগী ওই নারীর নাম শরিফা খানম। তিনি নড়াইল জেলার সদর উপজেলাধীন দুর্গাপুর এলাকার আবুল হোসেনের কন্যা।
ভুক্তভোগী নারীর দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল ইসলাম বছর খানেক আগে নড়াইল গণপূর্ত বিভাগে কর্মরত ছিলেন। নড়াইলে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে অভিযুক্তের সাথে ভূক্তভোগী নারীর সখ্যতা গড়ে ওঠে। রাকিবুল ইসলাম নিজেকে বিপত্নীক দাবি করে ভুক্তভোগী নারীকে ফুঁসলিয়ে এবং বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে বিবাহ করেন। বিবাহের পর কিছুদিন দুর্গাপুর এলাকার ভাড়া বাড়িতে দীর্ঘদিন একসাথে থাকার পর বদলিজনিত কারণে অভিযুক্ত মাগুরা জেলায় চলে যান। মাগুরা জেলায় যাওয়ার পর থেকে তিনি তার বিবাহিত স্ত্রীর সাথে সম্পূর্ণরূপে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এমনকি তার স্ত্রীর ব্যবহৃত মুঠোফোন নাম্বারটিও ব্ল্যাকলিস্ট করে রাখেন।
ভুক্তভোগী নারী বিভিন্নভাবে খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারেন অভিযুক্ত নিজেকে বিপত্নীক দাবি করলেও তার একাধিক স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। এমনকি পূর্বের স্ত্রীরা বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন করে দেশের বিভিন্ন আদালতে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও দায়ের করেছে।
সরকারি একজন প্রকৌশলীর নিকট থেকে এভাবে প্রতারণার শিকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ওই নারী। বিষয়টি সমাধানকল্পে তিনি গণপূর্ত অধিদপ্তর ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।