অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : শীতের শুরুতে শীতপ্রধান দেশগুলো থেকে হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বাগেরহাটের চিতলমারী ও মোল্লাহাট উপজেলার বিল ও জলাশয়ে আসতে শুরু করেছে অতিথি পাখি। কিন্তু এ অঞ্চলে এখন এসব পাখি শিকারীদের অবাধ দৌরাত্ম্যে পড়েছে বিপন্ন অবস্থায়। রাতের অন্ধকারে ফাঁদ ও জাল পেতে নির্বিচারে চলছে অতিথি পাখি নিধন।
স্থানীয় সূত্র ও সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, চিতলমারী ও মোল্লাহাটের বিভিন্ন বিল চৌদ্দহাজারী, সাবোখালী, দানোখালী, কলিগাতী, রুইয়ের কুল, গোদাড়া, কাপুড়িয়া, সুরিগাতি, গাউলা, নলধা, চান্দের হাট ও কেন্দুয়াল এলাকায় চলছে অতিথি পাখি শিকার। রাতে কচুরিপানার পাতা দিয়ে তৈরি বাঁশি বাজিয়ে ও বিভিন্ন বক্স সেটের শব্দে পাখির ডাক অনুকরণ করে শিকারীরা পাখিদের ফাঁদে ফেলে ধরে ফেলছে।
কেন্দুয়া বিলপাড়ের নির্মল মণ্ডল জানান, শিকারীরা এমনভাবে পাখির ডাক অনুকরণ করে যে, খাবারের সন্ধানে আসা হাঁস, কালদিগুড়ি, বুড়ে, কালকুচসহ নানা প্রজাতির পাখি সেই শব্দে আকৃষ্ট হয়ে পানিতে নামে এবং জালে আটকা পড়ে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় ব্যক্তি বলেন, অতিথি পাখি শিকার বন্ধের কোনো উদ্যোগ নেই। বরং যারা প্রতিবাদ করেন, তাদের খাবারের টেবিলেও দেখা যায় পাখির মাংস।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রশাসন ও বন বিভাগ কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে আগামীতে এসব বিলে আর অতিথি পাখির দেখা মিলবে না। প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এখনই প্রয়োজন কঠোর ব্যবস্থা।