“তুমি নিজেকে ওদেরই সংসর্গে রাখবে যারা সকাল-সন্ধায় ওদের প্রতিপালকের সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে ডাকে এবং তুমি পার্থিব জীবনের শোভা কামনা করে তাদের দিক হতে তোমার দৃষ্টি অন্যদিকে ফিরিয়ে নিয়ো না। (সূরা : কাহ্ফ ঃ আয়াত : ২৮)
১. হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছ হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন- বিধবা, বুদ্ধ ও মিসকীনদের জন্য চেষ্টা সাধনাকারী মহান আল্লাহর পথে জিহাদকারীর সমতুল্য। রাবী বলেন, আমার ধারণা তিনি এ কথাও বলেছেন , সে অবিরাম নামায আদায়কারী ও রোযাদার ব্যাক্তির সমতুল্য। (বোখারী ও মুসলিম শরীফ)
২. হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে লোক দু’টি মেয়েকে বয়ঃপ্রাপ্ত হওয়া পর্যন্ত লালন-পালন করল সে কিয়ামতের দিন এরূপ অবস্থায় আসবে যে, আমি আর সে এ রকম হবো। তিনি তার আঙ্গুল মিলিয়ে দেখালেন। (মুসলিশ শরীফ)
৩. হহযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, বৌভাত হচ্ছে নিকৃষ্ট, তাতে যারা আসে তাদেরকে বাধা দেয়া হয়। আর যারা আসতে রাজী নয় তাদেরকে দাওয়াত করা হয়। যে লোক দাওয়াত কবুল করা পরিত্যাগ করল, সে মহান আল্লাহর ও তার রসুলের নাফরমানী করল। (মুসলিম শরীফ)
৪. হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- একজন গরীব স্ত্রীলোক তার দু’টি কন্যাসহ আমার কাছে আসল। আমি তখন তাদের তিনটি খেজুর খেতে দিলাম, সে তার মেয়ে দু’টিকে একটি করে খেজুর দিল এবং অবশিষ্ট একটি খেজুর নিজের খাওয়ার জন্য তার মুখের দিকে তুলল। কিন্তু এটিও তার মেয়েরা চাইল। যে খেজুরটি সে নিজে খাওয়ার ইচ্ছা করল তাও দু’ভাগ করে তার মেয়ে দুটোকে দিয়ে দিল। আয়েশা সিদ্দীকা (রাঃ) বললেন, ব্যাপারটি আমাকে অবাক করল। সে যা করল আমি তা রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বললাম। তিনি বললেন, এর বিনিময়ে মহান আল্লাহ্ তা’আলা তার জন্য বেহেশ্ত নির্ধারণ করে দিয়েছেন অথবা জাহান্নাম হতে মুক্তি দিয়েছেন। (মুসলিম শরীফ)
৫. হযরত আবূ শুরাহ খুয়াইলিদ ইব্নে আ’মর আল-খুযাঈ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, হে মহান আল্লাহ্! দুর্বল অর্থাৎ ইয়াতীম ও নারীদের প্রাপ্য এবং অধিকার যে লোক নষ্ট করে আমি তার জন্য অন্যায় ও গোনাহ নির্দিষ্ট করে দিলাম। (নাসাঈ শরীফ)
৬. হযরত মুস’আব ইব্নে সা’দ ইব্নে আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- সা’দ (রাঃ) দেখলেন অন্যদের ওপর তার একটা শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে। রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করলেন, তোমরা কেবল তোমাদের দুর্বলদের ওয়াসীলায়ই সাহায্য ও রিযিকপ্রাপ্ত হও। ( বোখারী শরীফ)
৭. হযরত আবু দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- আমি রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তোমরা আমার সন্তুষ্টি।
Leave a Reply