অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের চীনে সফর নিয়ে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে একাধিক সংশয় রয়েছে। তা সত্ত্বেও শুক্রবার (৪ নভেম্বর) বেইজিংয়ে পৌঁছান তিনি। মহামারির পর থেকে জি-৭ গোষ্ঠীর প্রথম কোনো নেতা চীন সফরে গেলেন। ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
শলৎস জানান, তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ, মানবাধিকার ও পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহারসহ বিস্তৃত বিষয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে অকপটে কথা বলেছেন। চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর একটি সংবাদ সম্মেলনে শলৎস জানান, পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দেওয়া দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং বিপজ্জনক। এতে দুই নেতা সম্মত হয়েছেন।
চীনের নেতৃত্ব এ বিষয়ে সম্মত হলেও রাশিয়ার নাম উল্লেখ করেনি। যদিও এর আগে ইউক্রেনে আগ্রাসনের সময় পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ইঙ্গিত দিয়েছে রাশিয়া। শলৎসের কথায়, উত্তেজনার সময়েও দুই নেতা সব বিষয়ে আলোচনা করেছেন। সংকটের সময় চীন ও জার্মানি এই দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে যে আহ্বান জানিয়েছিলেন জিনপিং, শলৎসের বক্তব্যে সেই একই সুর শোনা যাচ্ছে।
বেইজিং সফরের একদিন পর সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের এক বৈঠকে চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তার চুক্তিকে স্বাগত জানান শলৎস। তিনি জানান, চীনে সফর করা ঠিক নাকি ঠিক নয়, এই বিতর্ক সত্ত্বেও এটা সত্য যে চীনের সরকার, প্রেসিডেন্ট এবং তিনি এক সুরে বলতে পারছেন, এই যুদ্ধে কোনো পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা উচিত নয়। শুধুমাত্র এটুকুর জন্যই সফরটি গুরুত্বপূর্ণ।
কূটনৈতিক আলাপ সত্ত্বেও শলৎসের ১১ ঘণ্টার সফর নিয়ে বিতর্ক চলছে। জার্মানির বর্তমান জোট সরকার চীনের উপর নির্ভরতা কমিয়ে দেশটির প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তবে এই জন্য বিতর্ক হচ্ছে তা কিন্তু নয়। বরং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জার্মানি চীন নিয়ে তার নীতির কোনো পরিবর্তন করেনি, শলৎসের সফরই তার প্রমাণ।
Leave a Reply