অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সত্যিকারের ভালবাসা মানে না কোনও বাধা। চলার পথে সমস্ত বিরোধিতা, সমস্যা, বাধা উড়িয়ে দিয়ে একসঙ্গে পথ চলেন দু’টি মানুষ। একে অপরের পাশে থেকে লড়াইও করেন। একটি জীবনের সঙ্গে জুড়ে যায় আরও একটি জীবন। এমনই এক ভালবাসার গল্প তৈরি হল ভারতের রাজস্থানে। নিজের লিঙ্গ পরিবর্তন করে প্রেমিকাকে বিয়ে করলেন এক ব্যক্তি। এহেন ঘটনা ভূ-ভারতে খুব একটা শোনা যায়নি। তবে দুই পরিবার হাসিমুখেই মেনে নিয়েছে এই বিয়ে।
ঘটনার সূত্রপাত রাজস্থানের ভরতপুরে। একটি স্কুলে শারীরশিক্ষার শিক্ষিকা হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন মীরা। সেখানেই তার ছাত্রী ছিলেন কল্পনা ফৌজদার। স্কুলের মধ্যেই একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হন তারা। প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে দু’জনের মধ্যে। কিন্তু দুই নারীর মধ্যে বিয়ের সম্পর্ককে এখনও স্বীকৃতি দেয়নি ভারত। ফলে সমস্যায় পড়ে যান মীরা ও কল্পনা। বিয়ে করে একসঙ্গে থাকার পরিকল্পনা করলেও তা বাস্তবায়িত করা অসম্ভব হয়ে ওঠে।
তখনই মীরা সিদ্ধান্ত নেন, পুরুষ হয়ে উঠবেন তিনি। ২০১৯ সাল থেকে দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পরে অবশেষে শারীরিক ভাবে পুরুষ হয়ে ওঠেন তিনি। নানা জটিল অস্ত্রোপচারের সময়ে মীরার পাশে ছিলেন কল্পনা। তারপরেই কল্পনার সঙ্গে বিয়ে। আগামী জানুয়ারি মাসে একটি আন্তর্জাতিক কবাডি প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে চলেছেন কল্পনা।
নারী থেকে পুরুষ হয়ে ওঠার পথটা কেমন ছিল? মীরা থেকে আরভ হয়ে উঠে তিনি বলেছেন, “আমি মেয়ে হয়ে জন্মালেও বরাবরই পুরুষ হতে চেয়েছি। অস্ত্রোপচার করে লিঙ্গ পরিবর্তন করতে উৎসাহী ছিলাম। ২০১৯ সালে আমার প্রথম অস্ত্রোপচার করা হয়। সব কিছুই ঠিক। সেই জন্যই লিঙ্গ পরিবর্তন করেছি।”
তবে নববধূ কল্পনার মতে, লিঙ্গ পরিবর্তন না করলেও আরভকেই বিয়ে করতেন তিনি। বিয়ের পরে কল্পনা বলেছেন, “প্রথমদিন থেকেই আমি ওকে ভালবাসি। যদি ও লিঙ্গ পরিবর্তন নাও করত, তাহলেও আমি আরভকেই বিয়ে করতাম। কিন্তু ও যখন লিঙ্গ পরিবর্তন করতে চাইল, তখন ওর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছি আমি।” জানা গিয়েছে, কল্পনা ও আরভের পরিবার পুরো বিষয়টিই মেনে নিয়েছেন। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
Leave a Reply