অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো ভারতকে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক হতে আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ (ইউপিআর) এ আহ্বান জানিয়েছে। আল–জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিতর্কিত সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ব্যবহার কমানোর পাশাপাশি যৌন নিপীড়ন ও ধর্মীয় বৈষম্যের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা।
জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে প্রতি চার বছর পর পর ইউপিআর হয়ে থাকে। এটি সদস্য দেশগুলোর মানবাধিকারের রেকর্ড খতিয়ে দেখার একটি পদ্ধতি। পর্যালোচনায় থাকা দেশ নিয়ে জাতিসংঘের যেকোনো সদস্য দেশ প্রশ্ন করতে বা সুপারিশ করতে পারে।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) ছিল ভারতের চতুর্থ ইউপিআর। এদিন জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো ভারতকে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নের পাশাপাশি সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ব্যবহার কমাতে আহ্বান জানিয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী ও মানবাধিকার কর্মীদের বিরুদ্ধে আইনটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাদের ন্যায় বিচার পাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয় না।
মানবাধিকার পরিষদে নিয়োজিত মার্কিন দূত মিশেল টেইলর জানান, তাদের সুপারিশ হলো, ভারত যেন মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে অবৈধ কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ আইনসহ বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ সংশোধনী আইন (ইউএপিএ) একই ধরনের আইনগুলোর প্রয়োগ যেন কমিয়ে দেয়া হয়।
ইউএপিএ হলো ভারতের একটি সন্ত্রাস বিরোধী আইন যার আওতায় কর্তৃপক্ষ কাউকে সন্দেহের ভিত্তিতে সন্ত্রাসী আখ্যা দিতে পারে ও জামিন না দিয়ে মাসের পর মাস আটকে রাখতে পারে। এ আইনটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও মানবাধিকার কর্মীদের বিরুদ্ধে অপব্যবহারের কারণে সমালোচিত।
২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ ইউপিআর এ যে সুপারিশগুলো করা হয়েছিল তার কিছু কিছু বাস্তবায়ন করতে পারায় বেশ কয়েকটি দেশ ভারতের প্রশংসা করেছে। অন্য দেশগুলো ভারতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার ক্ষুণ্ণ হওয়া, মুক্তমত বাধাগ্রস্ত হওয়া ও নারীদের প্রতি সহিংসতার কথা উল্লেখ করে সমালোচনা করেছেন।
Leave a Reply