অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এর কমান্ডারদের মধ্যে ১৮তম মহাপরিদর্শক পর্যায়ের সম্মেলন শেষ হয়েছে। শেষ দিনে ‘জয়েন্ট রেকর্ড অব ডিসকাশন্স (জেআরডি)’ স্বাক্ষরিত হয়েছে দুই বাহিনীর মধ্যে। ১৮তম মহাপরিদর্শক পর্যায়ের সম্মেলনে আঞ্চলিক কমান্ডাররা এতে সই করেন। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে সম্মেলনটি শেষ হয়।
সম্মেলনে বিএসএফ প্রতিনিধি দলের কমান্ডার ড. অতুল ফুলঝেলে বলেন, বিএসএফ ও বিজিবি উভয়ই সবচেয়ে জটিল এবং গতিশীল সীমান্তে মোতায়েন রয়েছে। সীমান্ত ব্যবস্থাপনার কার্যকর বাস্তবায়নে একে অপরের প্রচেষ্টার পরিপূরক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে দুই বাহিনী। সীমান্ত ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানে বিজিবি ও বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, উভয় সেনাবাহিনীর সংঘাত নিরসনের প্রক্রিয়ায় ইতিবাচক পরিবর্তন খুবই উৎসাহব্যঞ্জক। তিনি আশ্বস্ত করেন, বিএসএফ এই সভার মাধ্যমে তৃণমূল স্তরে এ ধরনের চেতনা নিয়ে যেতে চায় যাতে সমস্যাগুলো খুব সহজে সমাধান করা যায়।
বিএসএফ এর আইজি বলেন, সীমান্তের দুপাশেই অপরাধী রয়েছে। বিএসএফ ও বিজিবি যখন প্রতিটি স্তরে একসঙ্গে কাজ করবে তখনই তাদের ঘৃণ্য পরিকল্পনা নস্যাৎ করা যাবে। এই জন্য বিএসএফ সর্বদা সর্বোত্তম সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ‘সমন্বিত সীমা প্রবন্ধন যোজনা’ (সিবিএমপি) এমন একটি হাতিয়ার যা কার্যকর সীমান্ত ব্যবস্থাপনার জন্য উভয় বাহিনী দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। এর প্রকৃত অর্থে বাস্তবায়নের দায়িত্ব সীমান্তে অবস্থানরত উভয় বাহিনীর কাঁধে। তিনি আরও আশ্বস্ত করেন, এই বৈঠক দুই বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
Leave a Reply