অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ওমান উপসাগরে লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী প্যাসিফিক জিরকন নামের একটি তেলবাহী ট্যাংকারে ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) রাতে এ হামলা করা হয়। এদিকে, কে বা কারা এ হামলা চালিয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া না গেলেও, ইরানকে দায়ী করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল।
অন্যদিকে, ইরানের শীর্ষ নিরাপত্তা সংস্থা নুরনিউজের দাবি, এ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। রোববার (২০ নভেম্বর) কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে এ মিথ্যাচার করছে ওয়াশিংটন ও জেরুজালেম।
যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউজের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত যেসব তথ্য পেয়েছি, তা পর্যালোচনা করে আমাদের ধারণা- ইরান এ হামলা চালিয়েছে।
নাম না প্রকাশের শর্তে ইসরায়েলের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, তেলবাহী ওই ট্যাংকারে হামলা চালিয়েছে ইরান। মস্কোকে তেহরান যেসব ড্রোন দিয়েছে, ঠিক ওইরকম ড্রোন দিয়ে হামলা করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ডের কমান্ডার জেনারেল মাইকেল এরিক কুরিলা বলেন, প্যাসিফিক জিরকন নামের ট্যাংকারটি সিঙ্গাপুরভিত্তিক কোম্পানি ইস্টার্ন প্যাসিফিক শিপিংয়ে তত্ত্ববধানে চলাচল করে। আর এ কোম্পানির মালিক হলেন- ইসরায়েলি ধনকুবের ইদান ওফার।
তিনি আরও বলেন, একটি বেসামরিক জাহাজে এ ধরনের হামলা আবারও প্রমাণ করে যে, ইরান এ অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চায়।
অপর এক বিবৃতিতে ইস্টার্ন প্যাসিফিক শিপিং কর্তৃপক্ষ জানায়, ট্যাংকারটি ওমান উপকূল থেকে ২৪০ কিলোমিটার দূর দিয়ে গ্যাস নিয়ে যাচ্ছিল। সেসময় হঠাৎ করেই একটি ড্রোন আঘাত হানে।
‘আমরা ক্রুদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, এ হামলায় কেউ আহত হননি। সবাই সুস্থ ও নিরাপদ আছেন। এমনকি, ট্যাংকারের কাঠামো কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও, পানি ঢুকে গ্যাসের কোনো ক্ষতি হয়নি।’
এদিকে হামলার ঘটনায় কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি আবুধাবির ইসরায়েলি দূতাবাস, দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। সূত্র: আল জাজিরা
Leave a Reply