অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী হিলি এলাকার বাজারে নতুন আলু উঠতে শুরু করেছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ১২০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা দরে। দাম বেশি হলেও নতুন এই আলুর স্বাদ নিতে কেউ কেউ কিনছেন। তবে দাম শুনে না কিনে ফিরে যাচ্ছেন অনেকে। কয়েকদিনের মধ্যে বাজারে পর্যাপ্ত নতুন আলু উঠতে শুরু করবে, এতে দাম কমে আসবে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
হিলি বাজারে আসা রতন কুমার নামে এক ক্রেতা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আজ আমাদের সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা নবান্ন উৎসব পালন করছে। এই সময়ে আমাদের নতুন সবজি নতুন ফলের প্রয়োজন হয়। সে কারণে বাজারে এসেছিলাম নতুন আলু কিনতে। এক দোকানে নতুন আলু পেলাম, কিন্তু কেজি ১৪০ টাকা। নবান্ন উৎসবের জন্য মাত্র আড়াইশো গ্রাম আলু কিনলাম।’
মিনহাজুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে পত্র-পত্রিকায় দেখছিলাম দেশের বিভিন্ন এলাকায় নতুন আলু উঠেছে। বাড়ি থেকেও নতুন আলু নিতে বলছিল। কিন্তু আমাদের এলাকায় গতকাল পর্যন্ত উঠছিল না। আজকে বাজারে সবজি কিনতে এসে নতুন আলু দেখতে পেলাম। বিভিন্ন তরকারির সঙ্গে নতুন আলু মিশিয়ে রান্না করলে বেশ স্বাদ লাগে, তাই আর লোভ সামলাতে পারলাম না। নতুন এই আলুর স্বাদ নিতে ১২০ টাকা কেজি দরে আধাকেজি কিনলাম।’
আরেক ক্রেতা আসা আরমান হোসেন বলেন, ‘আজকেই প্রথম বাজারে নতুন আলু দেখলাম। তাই স্বাদ নিতে আলু কেনার জন্য দোকানির কাছে দাম জানতে চাইলাম। দাম শুনেই আর আলু নেওয়ার ইচ্ছা হলো না। মাত্র দুটি দোকানে নতুন আলু আছে। এসব আলু বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে। এত দাম দিয়ে আলু খাওয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই। তাই আলু না কিনেই ফিরে যাচ্ছি। যখন দাম কমবে তখন কিনে খাবো।’
হিলি বাজারের সবজি বিক্রেতা সোহেল রানা বলেন, ‘আজকেই এই মৌসুমে প্রথম নতুন আলু দোকানে তুলেছি। পার্শ্ববর্তী পাঁচবিবি উপজেলা থেকে আসা এক কৃষকের কাছ থেকে ১০ কেজি আলু ১০০ টাকা কেজি কিনে এনেছি। ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। আজকেই প্রথম হিসেবে দাম বেশি হলেও অনেকেই এই আলু কিনছেন, তবে পরিমাণে কম। কেউ আধাকেজি, কেউ এক পোয়া করে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে যারা আলু কিনছেন, তাদের মধ্যে অধিকাংশ হিন্দু ধর্মাবলম্বী, যারা নবান্ন উৎসব পালন করছেন।’
আরেক ব্যবসায়ী মোজাফফর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি এক কৃষকের কাছ থেকে মাত্রি তিন কেজি নতুন আলু কিনতে পেরেছি। ১২০ টাকা কেজি দরে কিনে এনে ১৪০ টাকায় বিক্রি করছি। কৃষকের কাছ থেকে সকালে নিয়ে দুপুর হতে না হতেই তিন কেজি আলু বিক্রি শেষ। নতুন এই আলুর স্বাদ নিতে সবাই অল্প অল্প করে নিয়ে গেছেন। তবে অনেক ক্রেতাই দাম শুনে না কিনে ফিরে যাচ্ছেন। তবে আগামী এক-দুই সপ্তাহের মধ্যেই পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন আলু উঠতে শুরু করবে। এতে বাজারে পর্যাপ্ত নতুন আলুর সররবাহ বাড়বে এবং দামও কমে আসবে।’
Leave a Reply