অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আগামী দিনে পৃথিবীর প্রত্যন্ত অঞ্চলেও বাংলাদেশে উৎপাদিত খাদ্যপণ্য ব্যাপকভাবে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অ্যাগ্রো প্রসেসিং সেন্টার আমরা বহুদূর এগিয়ে নিয়ে এসেছি। সামনে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবো। প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে পৃথিবীর বুকে ছড়িয়ে পড়বো। আরও বেশি খাদ্যপণ্য উৎপাদন করবো। অধিক উৎপাদনের মাধ্যমে পৃথিবীর প্রত্যন্ত অঞ্চলেও বাংলাদেশের খাদ্যসামগ্রী আগামী দিনে ব্যাপকভাবে পৌঁছে যাবে।’
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) বাপা ফুডপ্রো এক্সপোর অষ্টম আসরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাপার সাবেক সভাপতি ও এফবিসিসিআই’র সাবেক পরিচালক এস এম জাহাঙ্গীর হোসাইন, বাপার সাবেক সভাপতি এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সী, এবারের আয়োজক কমিটির সদস্য মো. শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।
দেশের অ্যাগ্রো প্রসেসিং সেন্টারের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে আহসান খান চৌধুরী বলেন, ‘বাপা ফুডপ্রো একটি অ্যাকটিভ অর্গানাইজেশন (সক্রিয় সংগঠন)। আমরা কাজ করে যাচ্ছি বাংলাদেশের অ্যাগ্রো প্রসেসিং সেন্টারে। আশা করি, আমাদের অ্যাগ্রো প্রসেসিং সেন্টার আরও এগিয়ে যাবে। সামনের দিনগুলোতে আমরা আরও ভালো করবো। অবশ্যই দেশের কৃষক ও আমজনতার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্যই কাজ করে যাবো।’
তিনি বলেন, ‘ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কয়েকটি কোম্পানির কথা বলতে চাই। আমরা আরও বেশি কৃষিপণ্য উৎপাদনে যাচ্ছি। স্যার (পরিকল্পনামন্ত্রী), আপনি এখানে প্রবেশের সময় আমাদের বলেছিলেন, এখানে দেশীয় পণ্য বিক্রি করছি না। আমরা এখানে দেশীয় পণ্যও বিক্রি করছি। যারা বাংলাদেশে আছি, এ সেক্টরে কাজ করছি, উৎপাদন করছি। সামনে এ খাতের আরও উন্নয়ন হবে।’
অনুষ্ঠানের মঞ্চে থাকা পরিকল্পনামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সিইও বলেন, ‘সরকারের হাতে হাত রেখে বাপা আগামী দিনে আরও এগিয়ে যেতে চায়। বাপা বিলিয়ন ডলারের এক্সপোর্ট করছে। সব পণ্য দেশে উৎপাদিত হচ্ছে। বাপা এক বিলিয়নের মাত্রা ছাড়িয়ে সামনে আরও এগিয়ে যেতে পারবে। আমার মনে হয়, বাপা আরও এগিয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা পৃথিবীর ১৪৫টিরও বেশি দেশে পৌঁছে গেছি। ভারতের বাজারে আমাদের সম্প্রসারণ বাড়ছে। অ্যাগ্রো প্রসেসিংয়ের সুবাদে বাপা এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত আমরা মেলা করছি। মধপ্রাচ্যের দেশগুলোতেও ভালো করছি। পাশাপাশি ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যে ভালো করছি। সেখানে বাংলাদেশের পণ্যের ব্যাপক প্রসার হচ্ছে। আমরা এখানে ভালো করছি, আগামী দিনে আরও এগিয়ে যাবো। ফলে খাদ্যপণ্যের উৎপাদন বাংলাদেশে বাড়বে। দেশের চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উৎপাদনও বাড়বে।’
আহসান খান চৌধুরী বলেন, ‘রিসেন্টলি (সম্প্রতি) আমরা দুবাইতে মেলা করে আসলাম। এর আগে আমরা ফ্রান্সে মেলা করেছি। আমাদের অর্ডারের পরিমাণও অনেক ভালো। বাংলাদেশের অ্যাগ্রিকালচার পণ্যসামগ্রী পৃথিবীর বুকে প্রসারিত হচ্ছে। বাংলাদেশে উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্যসামগ্রীর সুনাম বিশ্ববাজারে বাড়ার দিকটা আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সবার কাছে এখন প্রযুক্তি। সবকিছু হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ যে কষ্টকর মুহূর্ত অতিবাহিত করছে, আমাদের বাপা সদস্যরা আপনাদের (সরকারের) পাশে থাকবো। দেশকে সমৃদ্ধির দিকে আমরা এগিয়ে নিতে কাজ করছি। সামনে আরও বেশি করে অবদান রাখবো। আগামীতে বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে অন্যতম বৃহৎ কৃষিপণ্য রপ্তানিকারক দেশ হবে।’
Leave a Reply