অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : দীর্ঘ দশ বছর পর জনসভায় যোগ দিতে রবিবার বন্দরনগরী চট্টগ্রামে আসছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই জনসভা একটি ঐতিহাসিক জনসমুদ্রে রূপ নেবে বলে আশা করছেন চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।
নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে এ জনসভার আয়োজক চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে চট্টগ্রাম শহরজুড়ে উৎসবের আমেজ। নগরজুড়ে সাজসজ্জা ও প্রচার-প্রচারণার কাজ চলছে পুরোদমে।
২০১২ সালের ২৮ মার্চ শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে সর্বশেষ জনসভায় এসেছিলেন। সেদিন তিনি পলোগ্রাউন্ডে ১৪ দলের মহাসমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন। ১০ বছর ৯ মাস পর একই মাঠে আবার ভাষণ দেবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
জনসভা উপলক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তৈরি হয়েছে নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে নৌকার আদলে ১৬০ ফুটের মঞ্চ। সমাবেশস্থলের আশপাশে কয়েক কিলোমিটার এলাকা থাকছে সিসি ক্যামেরার আওতায়। জনসভার জন্য লাগানো হয়েছে ৩০০ মাইক। স্থাপন করা হয়েছে সাতটি বড় এলইডি মনিটর। জনসভাস্থলকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে।
রবিবার সকালে ভাটিয়ারিতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে সামরিক বাহিনীর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সেখান থেকে দুপুরে হেলিকপ্টারে তিনি চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামে আসবেন। স্টেডিয়াম থেকে গাড়িতে করে প্রধানমন্ত্রী পলোগ্রাউন্ড মাঠে জনসভায় যোগ দেবেন।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম সফরে ৩০টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ৪টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এ জন্য জনসভার মঞ্চের পাশে ভিত্তিফলকগুলো স্থাপন করা হয়েছে।
এদিকে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে নেতাকর্মীদের মধ্যে। তারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে অভূতপূর্ব উন্নয়ন কাজ করেছেন।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ এমপি, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, উত্তর জেলা সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীসহ নেতৃবৃন্দ ইতোমধ্যে জনসভার মাঠ পরিদর্শন করেছেন এবং প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি বলেন, ‘চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভূতপূর্ব উন্নয়ন কাজ করেছেন। তাই জনসভায় আওয়ামী লীগ ছাড়াও সাধারণ জনগণও উপস্থিত হবে। এ কারণে এবারের জনসভা একটি ঐতিহাসিক জনসভায় রূপ নিবে। পলোগ্রাউন্ড মাঠ ছাপিয়ে বাইরেও জনসমুদ্রে পরিণত হবে।’
জনসভার প্রস্তুতি প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘আমাদের নেত্রী আসবেন। এটা আমাদের জন্য পরম আনন্দের। দীর্ঘদিন পর আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশ হচ্ছে পলোগ্রাউন্ডে। এখানে ভাষণ দেবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী।’
উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ সালাম বলেন, ‘৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ঘিরে আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি সমাপ্তির পথে। আশা করি, এবার জনসভায় লোক জমায়েতে অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। জনসভা স্বাচ্ছন্দ্যে দেখতে মাঠের বাইরেও এলইডি টিভি বসানো হচ্ছে।’
এম এ সালাম বলেন, ‘পটিয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী ৬ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করেছেন। তাই পটিয়াবাসী উন্মুখ হয়ে আছেন প্রধানমন্ত্রীকে তাদের কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য। পটিয়া থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সর্বস্তরের মানুষ জনসভায় উপস্থিত হবে।’
Leave a Reply