অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইউক্রেনে নতুন করে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে এসব হামলা চালায় রুশ সেনারা। এদিকে, রাশিয়ার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রতিহত করতে দেশজুড়ে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনী।
শুক্রবার ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। স্থানীয় কর্মকর্তাদের দাবি, রুশ হামলায় খারকিভের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে, বন্দরনগরী ওডেসার কৃষ্ণসাগরীয় অঞ্চলের স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, সেখানেও রাশিয়ার হামলায় গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে।
অনেকে জানান, রাজধানী কিয়েভেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। তবে বিস্ফোরণের এ শব্দ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার কারণে কি না তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের মিকোলাইভ শহরের গভর্নর ভিটালি কিম জানান, ৬০টির মতো রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনের ভেতরে ছুটে আসতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে, রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের পরিমাণ বা সংখ্যা এখনো জানা যায়নি। তাছাড়া এসব ক্ষেপণাস্ত্র কোন কোন গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে আঘাত হেনেছে, তাও নির্দিষ্ট করে জানায়নি কিয়েভ।
তবে টেলিগ্রামে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের ডেপুটি প্রধান কিরিলো টিমোশেঙ্কো নাগরিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, সম্ভাব্য বিমান হামলার আশঙ্কা ও আমাদের দেওয়া সতর্কবার্তা উপেক্ষা করবেন না। সবাই আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করুন।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বাড়িয়েছে রাশিয়া। ৮ অক্টোবর ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে রাশিয়াকে সংযুক্তকারী কার্চ সেতুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনের জ্বালানি সংযোগ ও অবকাঠামোগুলো লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রাশিয়া।
এর মধ্যে গত মাসে রাশিয়া অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপের বৃহত্তম বন্দরনগরী সেভাস্তোপলের কাছে কৃষ্ণ সাগরে রুশ নৌবহরে ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর কয়েক দফায় ইউক্রেনের জ্বালানি স্থাপনা লক্ষ্য করে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ সেনারা।
ইউক্রেনের সামরিক কর্মকর্তাদের দাবি, সম্মুখ যুদ্ধে সুবিধা করে উঠতে না পেরে রুশ সেনারা অক্টোবর মাস থেকে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে।
অধিকাংশ জ্বালানি সংযোগ ও অবকাঠামোতে রাশিয়ার ধারাবাহিক হামলার ফলে, এরই মধ্যে ইউক্রেনে চরম বিদ্যুৎ সংকট ও দীর্ঘ সময়ের লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। লাখ লাখ ইউক্রেনীয় নাগরিককে তীব্র শীত ও অন্ধকারের সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। সূত্র: রয়টার্স
Leave a Reply