অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইউক্রেনের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে রাশিয়া। এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে নতুন করে রুশ হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমনকি দেশটির দাবি, কিয়েভে হামলা চালানোর জন্য নতুন করে ২ লাখ সেনা প্রস্তুত করছে রাশিয়া।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এমন তত্য জানায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি মেইল।
এ বছরের ৩ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিকভাবে প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিস্টে সাক্ষাৎকার দেন ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ জেনারেল ভ্যালেরি জালুঝনি।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রকাশিত ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আগ্রাসন শুরুর ১০ মাসের মাথায় এসে রাশিয়া ইউক্রেনের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে হামলার প্রবণতা বাড়িয়েছে। তবে ২০২৩ সালের শুরুর দিকে রাজধানী কিয়েভে নতুন করে হামলা শুরু করতে পারেন রুশ সৈন্যরা।
‘এখন আমাদের জন্য সবচেয়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত কাজ হলো, রিজার্ভ তৈরি ও সৈন্যদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করা। আগামী বছরের জানুয়ারিতে রুশ আগ্রাসন ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। তাই আগে থেকেই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
ভ্যালেরি জালুঝনি বলেন, রাশিয়া প্রায় ২ লাখ নতুন সৈন্য প্রস্তুত করছে। ফলে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই যে, তারা কিয়েভে আরও হামলা করবে। আমরাও প্রস্তুতি নিচ্ছি। ট্যাংক, আর্টিলারিসহ অন্যান্য সরঞ্জাম কী পরিমাণে দরকার একটি তালিকা তৈরি করছি আমরা।
‘আমরা শত্রুকে পরাজিত করতে সক্ষম, কিন্তু আমাদের সম্পদ দরকার। ৩০০টি ট্যাংক, ৬০০-৭০০ আইএফভিএস (যুদ্ধযান) ও ৫০০ হাউইৎজার দরকার।’
সেপ্টেম্বরে উত্তরপূর্বাঞ্চলের খারকিভ অঞ্চল থেকে রুশ সেনাদের পিছু হটতে বাধ্য করে ইউক্রেনীর সেনারা। এমনকি নভেম্বরে দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন থেকেও রুশ সেনাদের সরিয়ে দিতে সফল হন জেলেনস্কির সৈন্যরা।
এ প্রসঙ্গে জেনারেল ভ্যালেরি জালুঝনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, সম্মুখ যুদ্ধের লাইনটি ধরে রাখা ও রাশিয়ার কাছে আর কোনো ভূখণ্ড না হারানো।
তার দাবি, একের পর এক ব্যর্থতার পর রুশ সেনারা অক্টোবর মাস থেকে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে বোমাবর্ষণ শুরু করেছে। আমি জ্বালানি বিশেষজ্ঞ নই, তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে এবারের শীত আমাদের জন্য একটু বেশিই দীর্ঘ হবে।
ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো অর্থাৎ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে রাশিয়ার ধারাবাহিক হামলার ফলে, এরই মধ্যে দেশটিতে ব্যাপক লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। লাখ লাখ ইউক্রেনীয় নাগরিককে তীব্র শীত ও অন্ধকারের সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে।
Leave a Reply