অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইরানের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি নিজের সম্মান প্রদর্শনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে চীন সরকার। বেইজিং-এ নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মাদ কেশাভার্জ-জাদে গতকাল (সোমবার) এক টুইটার বার্তায় এ খবর জানিয়ে বলেছেন, ইরান ও চীনের মধ্যে বর্তমানে কৌশলগত সম্পর্ক বিরাজ করছে।
সম্প্রতি জেদ্দায় পারস্য উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের এক বৈঠক থেকে পারস্য উপসাগরের তিনটি ইরানি দ্বীপের ওপর সংযুক্ত আরব আমিরাতের সার্বভৌম ক্ষমতা রয়েছে বলে দাবি করা হয়। দৈবক্রমে এ সংক্রান্ত বিবৃতি প্রকাশের সময় সৌদি আরব সফররত চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
স্বাভাবিকভাবে ইরানের বিরুদ্ধে আরব দেশগুলোর বিবৃতি প্রকাশের সময় সেখানে চীনা প্রেসিডেন্টের উপস্থিতি তেহরানকে ক্ষুব্ধ করে। ইরান চীনের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানায়। বেইজিং-এ নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূতের টুইটার বার্তা প্রকাশিত হওয়ার একই দিন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেছেন, শি জিনপিং-এর সৌদি আরব সফরের সময় ‘যে ভুল হয়েছিল’ তা সংশোধন করেছে বেইজিং।
ইরানি রাষ্ট্রদূতের টুইটার পোস্টে বলা হয়, তিনি উচ্চপদস্থ চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক বিষয়গুলোর স্পর্শকাতরতার ব্যাপারে আরো বেশি সতর্ক থাকার জন্য বেইজিং এর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এসব বৈঠকে চীনা কর্মকর্তারা তেহরানকে এই নিশ্চয়তা দিয়েছে যে, ইরানের ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি বেইজিং-এর পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। এ ব্যাপারে তারা ইরানের সঙ্গে চীনের ২৫ বছর মেয়াদি কৌশলগত সহযোগিতা চুক্তির প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে একমাত্র ইরানের সঙ্গে চীন এ ধরনের চুক্তি করেছে যা থেকে বোঝা যায় তেহরানকে অন্যরকম গুরুত্ব দেয় বেইজিং।
Leave a Reply