অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বড়দিনের আগে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খেরসনে বিমান হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এতে কমপক্ষে ১০ জন নিহত এবং অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। খবর রয়টার্সের।
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিনের আগে শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে এ হামলায় চালানো হয়।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানান, রুশ খেরসন শহরের আবাসিক ও প্রশাসনিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি টুইটবার্তায় বলেন, ওই এলাকায় কোনো সামরিক স্থাপনা নেই। রাশিয়া ইচ্ছে করে বেসামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়ে যুদ্ধাপরাধ করেছে।
যদিও রাশিয়া প্রথম থেকেই দাবি করছে, তারা ইউক্রেনের বেসামরিক স্থাপনায় অভিযান অথবা হামলা চালাচ্ছে না। সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করেই অভিযান চলছে।
এ ছাড়া খেরসনে হামলার কথাও অস্বীকার করেছে মস্কো। রাশিয়ার দাবি— এ হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।
ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের দাবি, রাশিয়া খেরসনের ফ্রিডম স্কয়ারের একটি সুপার মার্কেটের পাশে রকেট হামলা চালিয়েছে।
ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর খেরসন প্রথমেই দখল করে নেয় মস্কো। তীব্র লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে গত মাসে একমাত্র আঞ্চলিক রাজধানী খেরসনকে মুক্ত করে নেয় কিয়েভ।
সর্বশেষ ভয়বহ হামলার পর ধারণকৃত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বেশ কয়েকটি মরদেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। গাড়ি ও ভবনে আগুন জ্বলছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি হামলার ব্যাপারে টেলিগ্রামে লিখেছেন, ‘হামলার এ ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হয়ত ‘সংবেদনশীল কন্টেন্ট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। কিন্তু এগুলো সংবেদনশীল কন্টেন্ট নয়— এটি ইউক্রেন এবং ইউক্রেনীয়দের প্রকৃত জীবন।’
জেলেনস্কি দাবি করেছেন, শুধুমাত্র সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাতে ও নিজেরা আনন্দ পেতে এতগুলো মানুষকে মেরে ফেলেছে রাশিয়া।
Leave a Reply