অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় ১৬ জন গ্রাম পুলিশের (চৌকিদার) বেতন থেকে ঘুস নেওয়া ২৪ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছেন সার্টিফিকেট সহকারী। বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) ওই টাকা ফেরত দেওয়া হয়। তবে বিষয়টি ঘুস নয়, নতুন চাকরি পাওয়ায় মিষ্টি খেতে ওই টাকা রাখা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত সিদ্দিকুর রহমান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক গ্রাম পুলিশ জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন শূন্য পদে ঝুলে থাকার পরে অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন দায়িত্ব গ্রহণের পরে উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের ১৬ জন গ্রাম পুলিশকে নিয়োগ দেওয়া হয়। সরকারি নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে গত ১৩ অক্টোবর এ নিয়োগ দেন। প্রথম দুই মাস ১০ দিনের বেতন বাবদ সাত হাজার ৫৪৮ টাকা করে দেওয়া হয়।
বুধবার বেতনের টাকা উত্তোলন করতে গেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসের সার্টিফিকেট সহকারী সিদ্দিকুর রহমান প্রত্যেক গ্রাম পুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে দেড় হাজার টাকা করে মোট ২৪ হাজার টাকা কেটে রাখেন। এমনকি ৪৮ টাকা করে ৭৬৮ টাকাও রেখে দেন।
ইউএনও সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে সিদ্দিকুর রহমান ডেকে বিষয়টি যাচাই করা হয়। এ সময় সিদ্দিকুর রহমান বিষয়টি স্বীকার করলে তাকে ওই টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশ মোতাবেক আজ সকাল থেকেই গ্রাম পুলিশ সদস্যদের হাতে বেতনের কেটে নেওয়া অংশ ফেরত দেওয়া হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গ্রাম পুলিশের বেতন থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে সিদ্দিকুর রহমান দাবি করেন, প্রথম বেতন থেকে মন্ত্রণালয় ও ডিসি অফিসে মিষ্টি খাওয়ার জন্য এই টাকা নিয়েছিলেন। তবে ইউএনওর নির্দেশে টাকা গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ফেরত দিয়েছেন।
Leave a Reply