অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ভূমিকম্পের ১০১ ঘণ্টা পর ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়া একই পরিবারের ছয়জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার কর্মীরা তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের ইস্কেন্ডারানে ধসে পড়া একটি ভবন থেকে তাদের উদ্ধার করে। খবর আল-জাজিরার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জীবিত উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা ধসে পড়া কাঠামোর মধ্যে ছোট এক জায়গায় একসঙ্গে আবদ্ধ ছিল। মুরাত বায়গুল নামের এক উদ্ধারকর্মী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের হাতায়ের এলাকায় ভূমিকম্পের ৯৬ ঘণ্টা পর ধ্বংসস্তূপ থেকে এক শিশুসহ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গেছে, দেড় বছর বয়সী ওই শিশুর নাম সেলা এলবারাজি। তার মা, বাবা, ভাই ও চাচাকেও এ সময় উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার অভিযানের পর তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর আগেও সিরিয়া ও তুরস্কে একইভাবে বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়।
তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে বিধ্বংসী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়েছে। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া লোকজনকে উদ্ধারে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকারীরা। বিভিন্ন দেশ থেকে উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছে কয়েক হাজার সদস্য।
শুধু তুরস্কেই এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১৭ হাজার ৬৭৪ জন। অন্যদিকে, সিরিয়ায় কমপক্ষে ৩ হাজার ৩৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তাছাড়া তুরস্কের কাহরামানমারাস প্রদেশে এমন ভূমিকম্প ১০০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় ছিল। সুইস সিসমোলজিস্ট স্টেফান উইমার এ মন্তব্য করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সুইস সিসমোলজি সার্ভিসের পরিচালক স্টেফান উইমার জানান, তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে চলতি সপ্তাহে যে বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়েছে সেটি গত একশ বছরের বেশি সময়ও দেখেনি কাহরামানমারাসের মানুষ। সুইস টেলিভিশন চ্যানেল এসআরএফ, যেটি জার্মান থেকে সম্প্রচার হয় সেটিতে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
Leave a Reply