অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রাজধানীর মার্কেট ও শপিং মলসহ ১ হাজার ৫১৭টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, মার্কেট ও শপিং মলগুলোতে অগ্নিকাণ্ড কমাতে বাড়তি পাহারা দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের কনফারেন্স রুমে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মার্কেট-শপিং মলের অগ্নিঝুঁকি নিরসন ও অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন তথ্য জানান।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সম্প্রতি অনেক মার্কেটে আগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নেভাতে গিয়ে অনেক ফায়ার কর্মী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে এখনও ১৯ জন ফায়ার কর্মী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তবে তারা সবাই শঙ্কা মুক্ত।
ঝঁকিপূর্ণ ভবনগুলোতে অভিযান অব্যাহত আছে জানিয়ে তিনি বলেন, নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অভিযান চলছে। সাম্প্রতিক সময়ে এটা আরও জোরদার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভবনগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করার ফলে এরকম দুর্ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। এছাড়া ভবনগুলোতে বসবাসকারীদের অগ্নি নির্বাপণের প্রশিক্ষণ না থাকায় আগুনের ভয়াবহতা বৃদ্ধি পায়। তাই আগুন নেভানোর মহড়া করা খুবই দরকার।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক বলেন, মার্কেটের ব্যবসায়ী ও মালিক সমিতিকে আমরা বলতে চাই, আপনারা মার্কেটের বিভিন্ন পয়েন্টে সারারাত নিজেদের লোক নিয়োগ দিন। এতে করে যে শুধু নাশকতা রোধ করা যাবে তাই নয়; বর্তমানে দেশের তাপমাত্রা বেশি, যদি অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে মার্কেটের কোনো দাহ্য পদার্থে আগুন লাগে, তবে প্রাথমিকভাবে আগুন নেভাতে কাজ করতে পারবেন তারা।
এছাড়াও তিনি দেশের মার্কেটগুলোতে রাতে থেকে ধূমপান না করা, রান্না না করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
২০১৮ সালে রাজধানীর ১ হাজার ৫১৭টি মার্কেট ও শপিংমল ছাড়াও রেস্টুরেন্ট ও আবাসিক হোটেলে জরিপ চালায় ফায়ার সার্ভিস। এরমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ১ হাজার ৪৬৩টি ‘খুবই ঝুঁকিপূর্ণ’ এবং ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর।
সর্বশেষ ২০১৮ সালে এই জরিপ চালানো হয়। ফায়ার সার্ভিস ওই সময়ে ঢাকার ৫৪টি মার্কেট, শপিং মল ও রেস্টুরেন্টে সন্তোষজনক অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা পেয়েছিল।