অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ছোট ভাই জাকিরুল ইসলাম মিস্টারকে (৩০) হত্যার ঘটনায় পলাতক বড় ভাই জহুরুল ইসলামকে (৫০) গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৩ রংপুর। শুক্রবার ভোরে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের চর হলদিবাড়ি গ্রাম এলাকায় এক আত্বীয়র বাড়িতে আত্মগোপনে থাকা ওই বড় ভাই গ্রেফতার করে র্যাব।
র্যাব-১৩ জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) শাহা আলম বলেন, হত্যা মামলার প্রধান আসামি জহুরুল ইসলাম। তাকে র্যাবের কাছে বুঝিয়ে পেয়ে শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে লালমনিরহাট জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
সুত্র মতে, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের প্রাণনাথ পাটিকাপাড়া গ্রামে চলতি বছরের শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সকালে বিরোধপূর্ণ জমির পাশে থাকা একটা ছোট আম গাছ উঠানোর কারণে ছোট ভাই জাকিরুলের উপর ক্ষেপে যান বড় ভাই জহুরুল ইসলাম। এক পর্যায়ে বড় ভাই জহুরুল লাঠি দিয়ে জাকিরুলের উপর হামলা চালায়।এ সময় বৃদ্ধ বাবা কেরামত আলী ছোট ছেলেকে বাঁচাতে গেলে বড় ছেলের লাঠির আঘাতে তিনিও আহত হন।
গুরুত্বর আহত ছোট ভাই জাকিরুল ইসলাম মিস্টারকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় শনিবার (৮ এপ্রিল) সকালে জাকিরুল ইসলাম মিষ্টারের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত জাকিরুল ইসলামের শাশুড়ি জরিনা বেগম বাদি হয়ে নিহতের ভাই ভাতিজা ভাবিকে আসামী করে হাতীবান্ধা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিল।
রংপুর র্যাব ১৩ এর পক্ষে জানানো হয়, ওই মামলার প্রধান আসামি জহুরুল ইসলামকে গ্রেফতারের জন্য হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ কর্তৃক র্যাব-১৩, রংপুর বরাবর একটি অধিযাচন পত্র দায়ের করে। অধিযাচন পত্রের ভিত্তিতে তথ্য উপাত্ত গুলো বিবেচনায় এনে সিপিএসসি, র্যাব-১৩, রংপুর ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং জড়িত ব্যক্তিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
পরবর্তীতে সিপিএসসি, র্যাব-১৩, রংপুর, এর একটি চৌকস আভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায়্য ২১ এপ্রিল ২০২৩ রাত ১ টা ৪০ মিনিটে আসামি জহুরুল ইসলামকে নীলফামারী জেলার জলঢাকা থানাধীন চর হলদিবাড়ি গ্রাম এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।