জাফিরুল ইসলাম : ঝিনাইদহ জেলার শ্রেষ্ঠ কৃষি কর্মকর্তা হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন হরিণাকুণ্ডু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জনাব হাফিজ হাসান। তিনি কুষ্টিয়া জেলায় এক সম্র¢ান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৮১ সালের ০৮ই জানিুয়ারি জন্মগ্রহন করেন। পিতা জনাব হারুন অর রশিদ ও মা হাজেরা খাতুনের কোল জুড়ে দেশ সেবার মহানব্রত নিয়েই হয়তো এ ধরায় এসেছিলেন তিনি।
গত ০৫-০৮-২০২০ইং সালে তিনি আরেকজন শ্রেষ্ঠ কৃষিবিদ অফিসার জনাব আরশেদ আলী চৌধুরীর নিকট হতে দ্বায়িত্বভার গ্রহন করেন।
দ্বায়িত্বভার গ্রহন করার পরপরই তিনি হরিণাকুণ্ডুর একশত ত্রিশটি গ্রামে কৃষি ও কৃষকের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেন। কখনও রোদ – বৃষ্টিতে তিনি কৃষকের সেবা দিতে ভুলে যাননি।
দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর হরিণাকুণ্ডু গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজ তার নানাবিধি কৃষি উদ্দ্যেগের ব্যাপারে তৎপর ছিল।
গতবছর কৃষকের নিকট হতে সরাসরি ধান ক্রয়ের ব্যাপারে তিনি স্থানীয় সিন্ডিকেটের বিপরীতে কৃষকের পাশে দাড়িয়ে লড়াই-সংগ্রাম করে জয়ী হন। এসময় তিনি বলেছিলেন, হরিণাকুণ্ডুতে হয় হাফিজ হাসান থাকবো না হয় সিন্ডিকেট থাকবে। এমন নানা কর্মকান্ড তিনি সাহসের সাথে গ্রহন করেন।
হরিণাকুণ্ডু কৃষি অফিস বর্তমানে কৃষকের অফিসে পরিণত করেছেন তিনি। একজন কৃষক কখনো কৃষি অফিসে এসে এক কাপ চা পান না করে ফেরেননি বলে জানিয়েছেন, উপজেলার পারদখলপুর গ্রামের কৃষক জনাব গোলাপ আলী, আশরাফুল ইসলাম আশা, আহাদনগর গ্রামের রফিকুল ইসলাম, দৌলতপুর গ্রামের বজলুর রহমান, হিংগারপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদসহ অসংখ্য কৃষক।
গতকাল ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম মাসিক স্টাফ রিভিউ সভায় জেলার শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসাবে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাফিজ হাসান এর হাতে সম্মাননা ক্রেষ্ট তুলে দেন।এসময় জেলা প্রশাসক জানান, অফিস পরিচালনায় দক্ষতা, কৃষকদের মানসম্মত ও দ্রুত সেবাদান, দূর্ণীতি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের একক স্মার্ট হিজলী ভিলেজ মডেল বাস্তবায়নসহ নানাবিধ বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়।
উল্লেখিত ক্ষেত্রসমূহে হাফিজ হাসান অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দেন। এছাড়াও অফিসের ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন, ঝুলন্ত ফুল বাগান সৃজন, পুরাতন ভবন মেরামত,গোডাউন সংস্কার করে কৃষি উপকরন সংরক্ষণেসহ বেশ কিছু উদ্যোগী কার্যক্রম হাতে নেন এবং সফলভাবে তা বাস্তবায়ন করেন।এছাড়াও উপজেলা কৃষি অফিস চত্বরে কৃষকের ভুবন নামক একটি কক্ষ সজ্জিত করেন যেখানে কৃষকেরা প্রশিক্ষণে এসে বিভিন্ন জাত, রোগবালাই স্যা¤পল, কৃষি স¤পর্কিত বই ও অন্যান্য সেবা সহজেই পেয়ে থাকেন। হরিণাকুণ্ডুু উপজেলাতে তেল জাতীয় ফসলের আবাদ বৃদ্ধিতে তিনি অসাধারণ সফলতাও পেয়েছেন। বিগত বছরের তুলনায় সরিষা আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৩০ শতাংশের বেশী।
শিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তাদের কৃষিতে যুক্ত করনেও তিনি নিয়েছেন নানমুখী কল্যাণধর্মী উদ্দ্যোগ। একারণে হরিণাকুণ্ডুর মাটি ও মানুষের পাশে সর্বক্ষনিক দায়িত্ব পালনে সফল এই কর্মকর্তাকে জেলার শ্রেষ্ঠ নির্বাচনে যথার্থই সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন সুযোগ্য জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম।
Leave a Reply