অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ঠাকুরগাঁওয়ে চলতি মৌসুমে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানিযোগ্য আম পাঠানোর কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার (৫ জুলাই) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মাহাবুবুর রহমান এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাদেক কুরাইশী, প্রকল্প পরিচালক আরিফুর রহমানসহ জেলার বিভিন্ন আম বাগানের মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, প্রথম পর্যায়ে ঠাকুরগাঁও থেকে বারি-৪ ও আম্রপালি গ্লোবাল ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে প্রায় ৫০০ কেজি আম ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাঠানো হবে। এ বছর গ্লোবাল ট্রেডিং প্রায় ১০০ টন আম রপ্তানি করবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটি।
গ্লোবাল ট্রেডিংয়ের সিইও কাউসার আহমেদ বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের সকল ফল অনেক ভালো মানের। আমরা ঠাকুরগাঁও থেকে সকল প্রকারের ফল রপ্তানি করতে চাই। আমরা আমের পাশাপাশি ঠাকুরগাঁও থেকে খুব তাড়াতাড়ি কাঠালোও রপ্তানি করবো।
রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের পরিচালক মো. আরিফুর রহমান বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের আমচাষিরা অনেক স্মার্ট। আমরা যে রপ্তানি যাত্রা শুরু করেছি এই ধারা সামনের দিনগুলোতে অব্যাহত থাকবে।
এ সময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদেক কুরাইশী বলেন, বিদেশে পাঠানোর জন্য যে জাতের আমগুলো চাষ করা প্রয়োজন সেই সমস্ত জাতের আম বেশি করে চাষ করা হবে। যত প্রকার সহযোগিতা দরকার তা আমরা করবো।
জেলা প্রশাসক মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, ভালোমানের আম উৎপাদন করে আমাদের ঠাকুরগাঁও জেলার সম্মানের পাশাপাশি বাংলাদেশের মান রাখতে হবে। আজ বহির্বিশ্বে রপ্তানি শুরু হলো। এই ধারা যেন অব্যাহত থাকে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জেলার পাঁচটি উপজেলায় ১ হাজার ৮৪৪টি আমের বাগান রয়েছে। যার আয়তন প্রায় ৩ হাজার ২৩৬ হেক্টর। এছাড়াও বসতবাড়িসহ সব মিলিয়ে ৪৯ হাজার ১৮৫ টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আজ প্রথম ঠাকুরগাঁও থেকে বারি-৪ ও আম্রপালি গ্লোবাল ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে প্রায় ৩০০ কেজি আম ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাঠানো হবে। এ বছর গ্লোবাল ট্রেডিং প্রায় ১০০ টন আম রপ্তানি করবে।
Leave a Reply