স্টাফ রিপোর্টার : সরকারি গাছ কেটে আত্মসাতের দায়ে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বীজ উৎপাদন খামার দত্তনগরের আওতাধীন গোকুলনগর বীজ উৎপাদন খামারের (বিএডিসি) উপ-পরিচালক সঞ্জয় দেবনাথকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
ঝিনাইদহের মহেশপুরে অবস্থিত এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বীজ উৎপাদন খামার মহেশপুরের দত্তনগর। বৃহত্তর এই খামার পাঁচটি ভাগে বিভক্ত। যার একটি গোকুলনগর বীজ উৎপাদন খামার। খামারে গত প্রায় ৩ মাস আগে উপ-পরিচালক সঞ্জয় দেবনাথ খামারে যোগদানের পর থেকেই হয়ে যান বেপরোয়া। সরকারি সম্পদ আত্মসাতের প্রথম নজর পড়ে পুকুর পাড়ের গাছের উপর। পুকুর ইজারাদারের সাথে যোগসাজসে পুকুর খনন করার সুযোগ করে দেন। তার নিয়ন্ত্রণাধীন গোকুলনগর খামারে ইজারাদার কতৃক পুকুর খনন, গাছ কর্তন ও পরিবহন করে খামারের বাহিরে নিয়ে গিয়ে গাছ বিক্রয় করা হলেও তা প্রতিরোধে তিনি কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ইজারাদারের সাথে তার যোগ সাজস রয়েছে মর্মে প্রতিয়মান হয় এবং বিষয়টি প্রাথমিক তদন্তে প্রমানিত হয়েছে। তার এমন আচারণ বিএডিসি’র কর্মচারী চাকুরী প্রবিধান মালা ১৯৯০ এর প্রবিধি নম্বর ৩৯ (ক) ও (খ) মোতাবেক দায়িত্ব পালনে অবহেলা অসদাচরণ ও সংস্থার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার শামিল যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমতাবস্থায় বিএডিসি কর্মচারী চাকুরী প্রবিধান মালা ১৯৯০ এর প্রবিধি নম্বর ৪৫ (১) অনুযায়ী তাকে সংস্থার চাকুরী হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মহেশপুর দত্তনগর কৃষি ফার্মের আওতাধীন গোকুলনগর ফার্মের উপ-পরিচালক সঞ্জয় দেবনাথের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ বিক্রি করে আত্মসাতের বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে নজরে আসে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের। ২ ও ৩ আগষ্ট দুই সদস্য বিশিষ্ট (একজন যুগ্নপরিচালক ও একজন উপ-পরিচালক) তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন মোতাবেক দোষী সাবস্ত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
Leave a Reply