জাফিরুল ইসলাম, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : প্রেম-ভালোবাসাসহ নানা প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে এনে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া ছিল ২ নারী ইউপি সদস্য নুর নেহা ও জাহানারা বেগমের কাজ । এ কাজে আরো সহায়তা করতো রুহানী আক্তার ও আজিম মন্ডল ।
গতকাল ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতে এ চক্রকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে ঝিনাইদহ জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
ডিবি পুলিশের ওসি শাহীন উদ্দীন জানান, ঝিনাইদহ ও কালীগঞ্জ উপজেলাতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় আটককৃতদের কাছ থেকে ৫৯ হাজার টাকা উদ্ধার কর হয়।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে ঝিনাইদহ ও কালীগঞ্জের নারী-পুরুষের একটি চক্র বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন দেখিয়ে বাসাতে নিয়ে মোবাইলের মাধ্যমে অশ্লীল ছবি ধারণ করে রাখে। পরে তাদেরকে ব্লাকমেইলিং করে অর্থ আদায় করে আসছিল। এরপর ভূক্তভোগীকে পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে সম্মানহানি করার ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে আসছিল।
তিনি আরো জানান, গত ৭ সেপ্টেম্বর দুপর আড়াইটার দিকে চক্রের সদস্য রুহানি আক্তার ওরফে শিলার মাধ্যমে প্রেম-ভালোবাসার প্রলোভন দেখিয়ে ভুক্তভোগী হারুনর রশীদকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ডেকে নেয় সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের ১,২ ও ৩নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মোসাঃ নুর নেহা । এসময় তিনি তাদেরকে নিজ বাড়ী ইউনিয়নের কুলফাডাঙ্গা গ্রামে রাখে । এরপর বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও প্রলোভন দেখিয়ে অশ্লীল ছবি মোবাইল ফোনে ধারন করে এবং ধারনকৃত অশ্লীল ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ১ লক্ষ ১৯ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে আদায় করে।
এরপর হারুনর রশীদ বাদি হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করে। তার প্রেক্ষিতে শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০ টার সময় কালীগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অপরাধ চক্রের সদস্য কুলফডাঙা গ্রামের বাবলু মন্ডলের স্ত্রী মোসাঃ নুর নেহা (৪০), করাতিপাড়া গ্রামের হাসান মন্ডলের স্ত্রী ও ইউপি নারী সদস্য জাহানারা বেগম (৬০), কালীগঞ্জ উপজেলার রাকড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল জলীল মন্ডলের মেয়ে রুহানি আক্তার শিলা( ২০), ও সদর উপজেলার কুলফাডাঙা গ্রামের মসলেম মন্ডলের ছেলে আজিম মন্ডল (৩৫) আটক করে ।
আটককৃত আসামীদের হেফাজত হতে অভিযোগকারীর কাছ থেকে আদায়কৃত অর্থের ১ লক্ষ ১৯ হাজার টাকার মধ্যে ৫৯ হাজার- টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া অপরাধ চক্রের পলাতক অন্যান্য সদস্যদের আটক অভিযান অব্যাহত আছে। আসামীদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
Leave a Reply