অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় লরা বারাজাস (৪০) নামে এক নারী শখ করে বাড়িতে তেলাপিয়া মাছ রান্না করেছিলেন। তবে তা খাওয়ার পরই ঘটে যায় মারাত্মক বিপত্তি। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তার হাত-পা অবশ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত প্রাণ বাঁচাতে চারটি অঙ্গই কেটে ফেলেন চিকিৎসক!
চিকিৎসকদের দাবি, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে আক্রান্ত হন ৬ বছরের সন্তানের ওই মা। যা তেলাপিয়া মাছ থেকে ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, ভুক্তভোগী ওই নারীর বান্ধবীরা বলছেন, আধকাঁচা মাছ খেয়েছিলেন তিনি। যা তাকে প্রায় মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছিল।
নিউ ইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার লরা বারাজাসের অস্ত্রোপচার করা হয়। এক মাস ধরে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছিলেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে লরার বান্ধবী আনা মেসিনা জানান, এটা একটা ভয়ংকর ঘটনা। কারো জীবনে যেন এদিনটি না আসে। কীভাবে কী হয়ে গেল, ভাবতেই পারছি না।
তিনি আরও জানান, দেশটির সান জোসের একটি স্থানীয় বাজার থেকে তেলাপিয়া মাছ কিনেছিলেন লরা। বাড়িতে নিজের হাতে ওই মাছ রান্না করেন তিনি। পরে মাছটি খাওয়ার পর একটু একটু করে কোমায় চলে যান তিনি। এর আগে, তার মারাত্মক শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। কোমায় চলে গেলে যেরকমের চিকিৎসা করা হয়, সেটাই তাকে দেওয়া হয়েছিল।
মেসিনা জানান, নিজের চোখে দেখেছি, একটি একটি করে আঙুল কালো হয়ে যাচ্ছে লরার। এরপর পায়ের পাতা কালো হয়ে গেল। তারপর নিচের ঠোঁটের রঙ বদলে গেল। এসময় তার সারা দেহে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল। ফলে তার কিডনি বিকল হতে শুরু করে।
চিকিৎসকদের দাবি, মূলত সামুদ্রিক মাছ থেকে এ ব্যাকটেরিয়া মানবদেহে ঢোকে।
মার্কিন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ নাতাশা স্পটিসউডের বলেন, সমুদ্রের মাছ খেতে হলে আমাদের বিশেষ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করার জরুরি।
তিনি আরও বলেন, যদি কেউ সিফুড গ্রহণ করার কথা ভেবে থাকেন, তাহলে রান্নার পদ্ধতি বদলাতে হবে। নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় এ মাছগুলোকে দীর্ঘক্ষণ ফেলে রেখে সিদ্ধ বা ভাজতে হবে। তাহলে এ ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব।
Leave a Reply