অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : অবরুদ্ধ গাজার অন্তত সাতটি এলাকার বাসিন্দাদের নিজ নিজ বাড়িঘর ছেড়ে সিটি সেন্টার বা অন্য কোনো নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলেছে ইসরায়েল।
এরইমধ্যে অনেক পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলগুলোতে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
শনিবার ভোরে গাজা থেকে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে একের পর এক রকেট হামলা চালিয়ে রক্তক্ষয়ী এক সংঘাত উস্কে দিয়েছে হামাস। হামাস যোদ্ধারা শুধু রকেট হামলা চালিয়েই ক্ষান্ত হয়নি। বরং সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে রীতিমত হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। হামাসের আক্রমণে ওইদিন প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি প্রাণ হারিয়েছে।
অর্ধ শতাব্দীর মধ্যে গাজা থেকে এত বড় আক্রমণের শিকার ইসরায়েলকে আর হতে হয়নি। হামলার আকস্মিকতা কাটিয়ে প্রতিশোধ নিতে গাজার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ইসরায়েল। শনিবার সারাদিন ও সারারাত ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গাজায় আকাশ হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ২৩০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
উভয় পক্ষেই এক হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের অনেকের অবস্থাই গুরুতর। রোববারও সংঘাত অব্যাহত আছে। ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট বেনইয়ামিত নেতানিয়াহু চরম প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছেন।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে গাজায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খাবার সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
বিদ্যুৎ সরবরাহ এরইমধ্যে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে বলে জানায় বিবিসি। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ২০০৭ সাল থেকে গাজা অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েল। গাজার আকাশ সীমার নিয়ন্ত্রণও তাদের হাতে। এমনকি স্থলপথে গাজায় কোনো পণ্য প্রবেশ করবে বা বের হবে সেটাও ইসরায়েলের অনুমতি সাপেক্ষে হয়।