অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : শনিবার ভোরে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের ব্যাপক সমন্বিত হামলার পর ইসরায়েল এবং গাজায় এ পর্যন্ত উভয় পক্ষে প্রায় ১১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সর্বশেষ সংঘাত শুরু হওয়ার ৩৬ ঘণ্টা পরেও গাজা থেকে দক্ষিণ ইসরায়েলে রকেট ছোঁড়া হচ্ছে।
জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক বিমান হামলায় গাজায় এক লাখ ২৩ হাজার ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং প্রায় ৭৪ হাজার স্কুলে আশ্রয় খুঁজছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তেল আবিবকে ওয়াশিংটনের ‘পাথর কঠিন’ সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর. ফোর্ডকে ইসরায়েলের কাছাকাছি নিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র আরও অস্ত্র পাঠাবে বলে জানিয়েছে।
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েল গাজায় স্থল অভিযান শুরু করবে বলে আশা করছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
রবিবার রাতে বিবিসির একজন সাংবাদিক জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজা থেকে দক্ষিণ ইসরায়েলে এখনও রকেট ছোঁড়া হচ্ছে।
গাজার হাসপাতালগুলো প্লাবিত হয়ে পড়েছে এবং বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতার মধ্যে লড়াই করছে।
জাতিসংঘ বলেছে, গাজার শেষ শক্তির উৎস একমাত্র পাওয়ার প্লান্টের দিনের মধ্যে জ্বালানি শেষ হতে পারে।
শনিবার সকালে হামাসের আক্রমণের ঢেউ কয়েক দশক ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সবচেয়ে বড় উত্তেজনাকর ছিল।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ রবিবার এই সংকট নিয়ে আলোচনা করেছে।
এদিকে তেল উৎপাদনকারী অঞ্চলে দীর্ঘস্থায়ী সংঘর্ষের সম্ভাবনায় সোমবার তেলের দাম বেড়েছে। সূত্র বিবিসির।