অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ফিলিস্তিনের গাজায় এক হাসপাতালে ইসরায়েলি আগ্রাসন ও হামলার প্রতিবাদে বুধবার ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ওই হামলার নিন্দা জানিয়ে লেবানন এবং তুরস্কে ইসরায়েলি দূতাবাসে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভ দমনে টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করেন নিরাপত্তা বাহিনী। আটক করা হয় বহু মানুষকে।
গাজায় হাসপাতালে ইসরায়েলের বিমান হামলায় শত শত মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় বুধবার লেবাননে মার্কিন দূতাবাসের বাইরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে হাজারো মানুষ। বিক্ষোভ দমাতে টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ।
গাজায় নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদের তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইসরায়েল বিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ করে হাজারো মানুষ। এসময় ভাঙচুর চালায় বিক্ষোভকারীরা। তাদের দমনে টিয়ারগ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। ইসরায়েলি দূতাবাস লক্ষ্য করে আতশবাজি ছোড়ে বিক্ষুব্ধরা।
জর্ডানের রাজধানী আম্মানে ইসরায়েলি দূতাবাসেও বিক্ষোভ মোকাবিলায় টিয়ারগ্যাসও ছোড়া হয়।
গাজার হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে তেহরানেও। রক্তক্ষয়ী হামলা বন্ধে ফিলিপাইনে মোমবাতি প্রজ্জালন করে প্রতিবাদ হয়েছে। ফিলিস্তিনিদের মুক্তির দাবিতে শ্লোগান দেয় বিক্ষোভকারীরা।
একদিকে তারা গাজাবাসীদের সরে যেতে বলে, অন্যদিকে, স্কুল-হাসপাতালে হামলা চালায়। প্রতিদিন বহু মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। হত্যাকারীদের ছাড় দেওয়া যাবে না।
আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সরকারকে বলতে চাই, ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ করুন। ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে আমরা বিক্ষোভ করছি।
এদিন, কলম্বিয়ার রাজধানীতেও বিক্ষোভে নামে কয়েক হাজার মানুষ। ইসরায়েল সরকার যা করছে তা রীতিমতো বাড়াবাড়ি। আমরা এখানে ফিলিস্তিনি জনগণকে সমর্থন করতে এসেছি যাদের ভূখণ্ড কেড়ে নেয়া হয়েছে। তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে।
ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে ইয়েমেনে। এতে অংশ নেন কয়েক লাখ মানুষ। ইসরায়েল যুদ্ধ নয়, গণহত্যা চালাচ্ছে অভিযোগ তুলে, অবিলম্বে গাজায় হামলা বন্ধের আহ্বান জানায় তিউনিশিয়ার মানুষ।
দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে ইসরায়েলের দূতাবাস থেকে মার্কিন দূতাবাস পর্যন্ত র্যালি করে প্রতিবাদ জানায় অংশগ্রহণকারীরা।
Leave a Reply