November 3, 2025, 6:42 pm
শিরোনামঃ
আজ বেদনাবিধুর ও কলঙ্কিত জেলহত্যা দিবস গণভোট নিয়ে দলগুলো ‘ঐকমত্যে’ পৌঁছাতে না পারলে সিদ্ধান্ত দেবে সরকার : আইন উপদেষ্টা সংকটময় মুহূর্তে দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে আসন্ন নির্বাচন : সিইসি বিতর্ক সত্বেও বাংলাদেশে আসতে পারেন বিশ্বখ্যাত ইসলামি বক্তা জাকির নায়েক নোয়াখালীতে এনসিপি নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর কুশপুত্তলিকা দাহ কুমিল্লায় সীমান্ত এলাকা থেকে ১ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি পটুয়াখালীতে বাসে অভিযান চালিয়ে ১৪০০ কেজি জাটকা জব্দ যুদ্ধের আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে ট্রাম্প বললেন ‘ভেনিজুয়েলার নেতা মাদুরোর দিন শেষ’ ইসরাইলকে আরও তিন জিম্মির মরদেহ ফেরত দিল হামাস রাশিয়া ও চীন পরমাণু পরীক্ষা চালিয়েছে : ট্রাম্প 
এইমাত্রপাওয়াঃ

গাজায় গণহত্যা ; কাপুরুষ ইসরাইল ও তার দোসরদের পরাজয় আড়াল করার অপকৌশল

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : গাজায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর পাশবিক হামলা পুরোদমে অব্যাহত রয়েছে। নারী ও শিশুসহ সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে আছে হাজার হাজার ফিলিস্তিনির লাশ। আহত শিশুদের আত্মচিৎকারে গোটা বিশ্বের বিবেকবান মানুষ স্তম্ভিত। দখলদার ইসরাইল যেন ভুলেই গেছে- নিরস্ত্র ও অসহায় জনগণকে হত্যার মধ্যে কোনো বীরত্ব নেই, এটা কেবলি কাপুরুষতা।

আর এই কাপুরুষোচিত হামলায় সরাসরি সমর্থন ও সহযোগিতা দিচ্ছে আমেরিকা ও ইউরোপ। প্রকাশ্যে গাজার উপর দিয়ে ড্রোন পরিচালনা করেছে মার্কিন বাহিনী। ওয়াশিংটন থেকে সরাসরি হামলার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। আমেরিকা এরিমধ্যে বিমানে করে দখলদার ইসরাইলে বাঙ্কার বিধ্বংসী ও গুচ্ছ বোমা নিয়ে এসেছে। মার্কিন নেতারা সুস্পষ্ট করেই বলছেন, তারা ইসরাইলকে সর্বশক্তি দিয়ে রক্ষা করবেন। মার্কিন এসব কর্মকাণ্ডও প্রমাণ করে ইসরাইলের সেনাবাহিনী কতটা দুর্বল, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনের মতো ছোট ছোট সামরিক শক্তির সঙ্গেও তারা পেরে উঠছে না। গাজায় স্থল অভিযান চালাতে গিয়ে ব্যাপক মার খাচ্ছে দখলদার বাহিনী।

ইসরাইলের সামরিক বাহিনী গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ শক্তির কাছে পরাজিত হয়েছে এবং তাদের দুর্বলতা প্রকাশ হয়ে পড়েছে। আমেরিকা কিছু পদক্ষেপের মাধ্যমে তাদেরকে এখন সান্ত্বনা দিতে চাইছে, তাদের মনোবল চাঙ্গা করতে চাইছে। আমেরিকা বলতে চাইছে- আমেরিকার মতো বিশাল এক শক্তি তাদের পাশে রয়েছে এবং তারা যেন হতাশ না হয়। আমেরিকার এসব সান্ত্বনা বা পদক্ষেপ আহামরি কোনো প্রভাব রাখতে পারবে না বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এ প্রসঙ্গে ইরানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. সায়াদাউল্লাহ জারেয়ি বলেছেন, যে আমেরিকা ইসরাইলিদেরকে সান্ত্বনা দিয়ে আগ্রাসন চালিয়ে যেতে উৎসাহ দিচ্ছে সেই আমেরিকা দুই বছর আগে আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে বেঁচেছে। তারা কয়েক বছর আগে ইরাক থেকে সব সেনাকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে। অবশ্য পরবর্তীতে কিছু সেনাকে আবার ইরাকে নিয়ে এসেছে। কিন্তু এই আমেরিকা ইরাকে এসেছিল স্থায়ীভাবে থাকার জন্য। তারা দুই লাখ সেনা এনেছিল সেখানে। কিন্তু সেনাদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। যে আমেরিকা ইসরাইলকে উৎসাহ দিচ্ছে সেই আমেরিকার ঘাঁটিগুলো ইরাক ও সিরিয়ায় হামলার শিকার হচ্ছে। তারা নিজেদের সেনাদেরকে রক্ষা করতে পারছে না, ঘাঁটিগুলোতে হামলা বন্ধ করতে পারছে না।

কাজেই মার্কিন সমর্থন নিয়েও ইসরাইলের পক্ষে গাজায় বড় কোনো সামরিক বিজয় অর্জন সম্ভব নয়। আর এটা জেনেই বর্বর ইসরাইলি বাহিনী গাজার বেসামরিক মানুষদের নির্বিচারে হত্যার মাধ্যমে কাপুরুষোচিত উপায়ে নিজেদের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে চাইছে, পরাজয়ের গ্লানি মুছে ফেলতে চাইছে। কিন্তু এটা কোনো দিনই সম্ভব হবে না।

আজকের বাংলা তারিখ

November ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Oct    
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০


Our Like Page