অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : হরতাল-অবরোধে নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষ হত্যা করে বিএনপি-জামায়াত যুদ্ধাপরাধের চেয়ে জঘন্য অপরাধ করছে। এজন্য তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে এডুকেশেন রিসার্চ এন্ড ডেভেলমেন্ট ফোরাম বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি)। একইসঙ্গে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও অপরাজনীতি রুখে দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় জানিয়েছে সংগঠনটি।
শনিবার (১১ নভেম্বর) সকালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউিটে এক মতবিনিময় সভায় এসব দাবি জানানো হয়। ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও অপরাজনীতির’ প্রতিবাদে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদশে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য ও ইআরডিএফবি’র সভাপতি প্রফসের ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসের ড. মশিউর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. এমদাদুল হক, ডুয়েট ভিসি প্রফেসর ড. হাবিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মাহবুবুর রহমান, চাঁদুপর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. নাসিম আক্তার, বাংলাদশে টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির ভিসি ড. শাহ আলিমুজ্জামন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির ভিসি ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফসের ড. আব্দুল জব্বার খাঁন।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত নাশকতামূলক কর্মকান্ড পরিচালনার মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীল পরবিশে সৃষ্টি করে উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে বাঁধাগ্রস্ত করার চক্রান্ত করছে। তাদের অপরাজনীতি ও বিদেশীদের প্রতি নির্ভরতা দেশের মানুষের প্রতি আস্থাহীনতার বহিঃপ্রকাশ। দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৫০ লক্ষ শিক্ষার্থী রয়েছে। এসব শিক্ষার্থীর নিরাপদ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তপক্ষকে এসব শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাবকদের ভোট কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান। নির্বাচনের মাধ্যমে তরুণ সমাজ গণতান্ত্রের বিজয় উৎসব উদযাপন করবে বলে তিনি জানান।
সভায় জানানো হয়, শিক্ষার্থীরা ভালো প্রস্তুতি নিয়েও হরতাল-অবরোধের কারণে ক্লাস-পরীক্ষা যথা সময়ে হবে কিনা এই সংশয়ে রয়েছে। এতে করে তাদের মানসিক চাপ বাড়ছে এবং প্রত্যাশিত ফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যাতে নির্ভয়ে শ্রেণিকক্ষে ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে সেজন্য সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান দেশের বিশিষ্ট শিক্ষকবৃন্দ। একইসঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে সারা দেশে সন্ত্রাস ও অপরাজনীতি রুখে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এ ছাড়া, সমাবেশে বিএনপি-জামায়াতের চলমান নৈরাজ্য, সন্ত্রাস ও অপরাজনীতির মদদ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র বলে অভিযোগ করা হয়।
শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. অলোক কুমার পাল, বাংলাদশে ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফসের ড. মোকাদ্দেম হোসেন, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. আবুল কালাম আজাদ, শেকৃবির সাবেক ভাইস- চ্যান্সেলর প্রফসের ড. কামাল উদ্দিন আহম্মাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিন্নাত হুদা, সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস- চ্যান্সেলর প্রফসের ড. শামীম আরা হাসানসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসার জ্যেষ্ঠ শিক্ষকগণ বক্তব্য রাখেন।