অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : নাটোরের চলনবিলে ফাঁদ পেতে পাখি শিকারের দায়ে ৩ পেশাদার শিকারিকে ৬ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সিংড়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল ইমরান।
শুক্রবার সকাল ১০টায় উপজেলা হুলহুলিয়া ও সারদানগর ডুবন্ত সড়কের বড়িতলা এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এ রায় প্রদান করা হয়।
এ সময় উদ্ধারকৃত ১৫টি বিভিন্ন প্রজাতির পাখি অবমুক্ত ও প্রায় ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ফাঁসি ফাঁদ জব্দ করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এর আগে ভোর ৫টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত পরিবেশবাদী সংগঠন চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ও সহ-সভাপতি হাসান ইমামের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের দুটি টিম সারদানগর, হুলহুলিয়া ও মুষ্ঠিগড় বিলে অভিযান পরিচালনা করে। সংগঠনের সদস্যরা প্রায় চার কিলোমিটার কাঁদা-পানি মাড়িয়ে সাত পাখি শিকারিকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করেন।
এদের মধ্যে মুষ্ঠিগড় গ্রামের পেশাদার পাখি শিকারি আব্দুর রাজ্জাক (৬৫) এবং হুলহুলিয়া গ্রামের লুৎফর রহমান লতু (৫৪) ও মজু সরদার (৭৫) এই তিনজনকে ছয় হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়াও একই গ্রামের পাখি শিকারি সজিব ও তুহিন এবং দুই কিশোরকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জানান, বর্ষার শেষভাগে এবং শীতের শুরুতে অল্প পানিতে মাছের সঙ্গে পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠে চলনবিল। আর সেই সঙ্গে এক শ্রেণির পাখি শিকারিদের তৎপরতা দেখা যায়। বিলের পাখি ও প্রকৃতি বাঁচাতে তারা রাতদিন বিলের দুর্গম এলাকায় ছুটে চলেছেন।
সিংড়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল ইমরান বলেন, পাখি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় স্থানীয় পরিবেশ কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
Leave a Reply