অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : অনলাইন প্রতারণা চক্রের এক সক্রিয় সদস্যকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।
এঘটনায় মোহাম্মদপুর ও উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ৩৮ টি মোবাইল ফোন, ৫ টি ল্যাপটপ ও ৩৬ টি সীম কার্ডসহ অন্যান্য মালামাল জব্দ করা হয়েছে।
এটিইউ জানিয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এটিইউ’র একটি দল শুক্রবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে মোহাম্মদপুর থানার সাতমসজিদ হাউজিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
এ ঘটনার পর এটিইউ’র অপর একটি দল উত্তরা উত্তরা পশ্চিম থানার সেক্টর-১২ রোড-১২ বাসা-৩৩ আজ শনিবার সকাল ৮ টা পর্যন্ত উত্তরায় বিদেশী নাগরিকের বাসাসহ রাত ভর বিভিন্ন স্হানে অভিযান চালায়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম- রবিউল ইসলাম (৩০) মাগুরা জেলার মাগুরা সদর থানার
হাজরাপুর গ্রামের জড়োন মোল্লার পুত্র। গ্রেফতারকালে তার কাছ থেকে ১ টি ল্যাপটপ, ৩ টি মোবাইল ও বিভিন্ন অপারেটরের ১২টি সীম, পাসপোর্ট, ব্যাংক কার্ড, এনআইডিসহ ব্যাংকের চেক বই জব্দ করা হয়।
আজ শনিবার সকালে এটিইউ’র সিনিয়র এএসপি ও সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) ওয়াহিদা পারভীন বাসসকে এসব তথ্য জানান।
তিনি আলো জানান, সম্প্রতি অ্যান্টি টেররিজমের ‘ইনফর্ম এটিইউ’ অ্যাপে এমন একটি কেনাকাটার অ্যাপসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন এক ভুক্তভোগী। পরে অভিযোগকারীর ইনফর্ম এটিইউ অ্যাপে দেয়া তথ্য মতে, তিনি কিছু দিন পূর্বে অনলাইনে অ্যানি অ্যামাজন অ্যাপস নামক সাইটে দেখতে পান অনলাইন একাউন্ট করে তাদের থেকে পন্য কিনে অনলাইনে তাদের স্টোরে রেখে দিলে গ্রাহককে কমিশন দিবে। তিনি সরল বিশ্বাসে ওই অ্যাপ পরিচালনাকারী সদস্য পরিচয়দানকারী ব্যক্তিদের কথার উপর বিশ্বাস স্থাপন করে ব্যবসায়িক মুনাফার আশায় বিকাশ ও রকেট এর মাধ্যমে মোট ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ হিসেবে প্রেরণ করেন।
এএসপি ওয়াহিদা পারভীন জানান, উল্লেখিত টাকা ক্যাশ আউট করে আসামী রবিউল ইসলাম গ্রহণ করে কিন্তু তাঁর এই বিনিয়োগকৃত তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার সমপরিমান মালামাল না দিয়ে অ্যানি অ্যামাজন অ্যাপ নামে পরিচালিত সংঘবদ্ধ প্রতারণা চক্রের সদস্যরা ভাগাভাগি করে নেয়। পরে আসামী রবিউল ইসলাম এর অবস্থান সনাক্ত করে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এটিইউ পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, আসামী রবিউলের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরবর্তীতে অনলাইনে চাকরি নামে প্রতারণা, বেটিং সাইটের লোন প্রজেক্টসহ বিভিন্ন অনলাইন প্রতারণার হোতা চীনা নাগরিক লি জিয়াংকে গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে উত্তরার এক বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয় কিন্তু পলাতক থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
এটিইউ’র সহকারি পরিচালক জানান, উত্তরায় অভিযান পরিচালনাকালে এ সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্যদের প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৩৫ টি এন্ড্রয়েড মোবাইল সেট, ৪ টি ল্যাপটপ, ২৪ টি সীম কার্ডসহ ইউএসবি পোর্টের হাব জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, বিভিন্ন অনলাইন প্রতারণার মূলহোতা চীনা নাগরিক লি জিয়াংসহ সাত-আটজন প্রতারক পরস্পর যোগসাজশে ৭/৮ মাস ধরে এই অ্যাপ ও চাকরি দেওয়াসহ নানা প্রলোভনের মাধ্যমে প্রতারণামূলক কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন।
Leave a Reply