অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি অপরাধের আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে কাতার। কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল থানি গতকাল রোববার (৩ ডিসেম্বর) এই আহ্বানের কথা জানান। খবর আল জাজিরা।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘আমরা ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি ‘অপরাধের’ বিষয়ে অবিলম্বে, বিস্তৃত পরিসরে ও নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি। এছাড়া, গাজায় আরেকটি যুদ্ধবিরতি সহজতর করার এবং অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব আমরা।’’
এদিকে ইসরায়েল ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে চার দিনের সফর শেষ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম খান। তিনি জানান, সব পক্ষকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলতে হবে। যদি তা না করা হয়, তাহলে প্রয়োজন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হবে। তখন কেউ অভিযোগ করতে পারবে না। তিনি আরও নিশ্চিত করেন, তার কার্যালয় সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের তদন্তকে ত্বরান্বিত করবে।
এর আগে মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে কাতারের মধ্যস্থতায় সাত দিনের যুদ্ধবিরতি হয়েছিল গাজায়। গত ২৪ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চলা এই যুদ্ধবিরতি কালে ৮০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। বিনিময়ে ২৪০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে ছেড়ে দেয় ইসরায়েল। তবে যুদ্ধবিরতি শেষ হতেই গাজা উপত্যকায় আবার তাণ্ডব শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় ৭০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং তাদের বড় অংশই নারী ও শিশু। গতকাল রোববার গাজার কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানায়।
গত শনিবার (২ ডিসেম্বর) গাজায় নতুন করে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা নিয়ে নিরাশা দেখা দেয়। কারণ, কাতার থেকে ইসরায়েল তার গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের আলোচকদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে। অন্যদিকে হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কারাবন্দী ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি জিম্মি বিনিময় নিয়ে তারা আর আলোচনা করবে না।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। ইসরায়েলের ভাষ্যে, হামাসের এই হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় সাড়ে ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৭০ শতাংশের বেশি নারী ও শিশু।
Leave a Reply