অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনারা অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চীয় বেইত লাহিয়া শহর থেকে অত্যন্ত অবমাননাকর পন্থায় শত শত ফিলিস্তিনি যুবককে আটক করেছে।
ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইসরাইলি সেনারা বেইত লাহিয়ায় জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলগুলোতে আশ্রয় গ্রহণকারী ফিলিস্তিনিদের মধ্য থেকে ১৫ বছরের বেশি বয়সের পুরুষদের বেছে বেছে ধরে নিয়ে যায়। এরপর এসব ফিলিস্তিনি যুবদের দেহ থেকে বেশিরভাগ পোশাক খুলে তাদেরকে অর্ধ-নগ্ন করে রাস্তায় বসিয়ে ছবি তোলে এবং ভিডিও ধারন করে।
ফিলিস্তিনিদের অপমান করার লক্ষ্যে মানবতার শত্রু ইসরাইলি সেনাদের এই পদক্ষেপে যারা আটক হয়েছেন তাদের বেশিরভাগ সাংবাদিক, শিক্ষক, অধ্যাপক ও মানবাধিকার কর্মী বলে জানা গেছে।
আটক ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন আল-আরাবি আল-জাদিদ গণমাধ্যমের সাংবাদিক দিয়া আল-কাহলুত, তার কয়েক ভাই, আত্মীয়-স্বজন এবং আরো গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আটক ফিলিস্তিনিদের পিক-আপ ও ট্রাকে করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেছে দখলদার সেনারা। দিয়া আল-কাহলুতের বোন জানিয়েছেন, তার ভাইসহ আটক ব্যক্তিদের শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করেছে দখলদার সেনারা।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, ইসরাইলি সেনারা আটক ফিলিস্তিনি যুবকদের অর্ধ-নগ্ন অবস্থায় চোখ বেঁধে এবং দু’হাত পিঠমোড়া দিয়ে বাধা অবস্থায় হাঁটু গেড়ে বসিয়ে রেখেছে।
বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে, আটকের পর এসব ছবি প্রকাশ করে ইসরাইলি গণমাধ্যমগুলো দাবি করেছে, এসব যুবক সম্ভাব্য হামাস সদস্য যারা স্বেচ্ছায় ইসরাইলি সেনাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে! ইসরাইলি গণমাধ্যমের এ দাবি থেকে বিশ্লেষকরা বলছেন, দুই মাসের বেশি সময় ধরে হামাসকে ধ্বংস করার অভিযান চালানো সত্ত্বেও প্রকাশ্যে হামাস যোদ্ধাদের দেখাই পায়নি ইসরাইলি সেনারা। তারা শুধু অজ্ঞাত স্থান থেকে হামাসের হামলায় বেঘোরে প্রাণ হারাচ্ছে। এ কারণে নিরীহ সাধারণ ফিলিস্তিনিদের আটক ও হয়রানি করে হামাস সদস্যদের ধরতে না পারার জ্বালা মিটিয়েছে দখলদার সেনারা।
Leave a Reply