অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দিলে কিংবা হুমকি-ধামকি দিলে দায়ী ব্যক্তিকে শাস্তির আওতায় আনা হবে সতর্ক বার্তা উচ্চারণ করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশেদা সুলতানা।
তিনি বলেন, সবাই সহযোগিতা করলে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ।
রোববার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন সংঘর্ষ ও আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়ে ইসি রাশেদা বলেন, ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে আমরা সচেষ্ট। আমাদের কাছে অভিযোগ আসুক বা না আসুক নির্বাচনী অনুসন্ধানী কমিটি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা বিভিন্ন সংসদীয় এলাকা ঘুরে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। ভবিষ্যতেও ভোটের পরিবেশ ঠিক রাখতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে সে বিষয়েও প্রস্তুতি চলছে। সেগুলো আপনারা স্তরে স্তরে দেখতে পাবেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা প্রত্যাশা করি ভোটাররা ভোট দিতে আসবেন। ভয় বা আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমরা ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে আইন সংশোধন করেছি। আগে ভোটারদের বাধা দিলে, ভয়ভীতি দেখালে বা হুমকি-ধামকি দিলে সেটা অপরাধের আওতায় ছিল না। এখন সেটা অপরাধের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করেছি। ভোটারদের বলবো, কেউ যদি হুমকি-ধামকি দেয় আপনারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে নির্ভয়ে বলবেন, আশা করি প্রতিকার পাবেন।
গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে ইসি রাশেদা বলেন, সাংবাদিকদের আঘাত করা, ভয় দেখানো বা সরঞ্জাম কেড়ে নেওয়া সবই অপরাধ আওতায় আসবে। আপনারা অভিযোগ করলে আইনি সহযোগিতা করা হবে।
এর আগে মতবিনিময় সভায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা প্রতিপক্ষ প্রার্থীদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘন, কর্মী-সমর্থকদের হুমকি-ধমকি দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন।
নওগাঁর ছয়টি সংসদীয় আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, রাজশাহী অঞ্চলের ডিআইজি আনিসুর রহমান, রাজশাহীর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, নওগাঁর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply