November 19, 2025, 9:22 pm
শিরোনামঃ
ঝিনাইদহে নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা ঝিনাইদহের মহেশপুর পৌরসভার উন্নয়ন কাজে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মনিটরিং ঝিনাইদহের মহেশপুরে সড়কে ডাকাতি রোধে পুলিশের বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ মাগুরায় এসডিএফ এর আয়োজনে জেলা স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ক স্টেকহোল্ডার কর্মশালা আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে প্যারেড অনুষ্ঠিত হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সুষ্ঠু ভোটের জন্য আচরণবিধি মেনে চলা জরুরি : প্রধান নির্বাচন কমিশনার আমরা একটা ট্রানজিশনাল পিরিয়ডে আছি : বিএনপি মহাসচিব দেশের সব মোবাইল ফোন বিক্রির দোকান বন্ধের ঘোষণা কেউ ভোট হাইজ্যাক করতে চাইলে যুবক হয়ে বিস্ফোরিত হবো : জামায়াতের আমির দেশের মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ১শ’৮৩ জন
এইমাত্রপাওয়াঃ

তিনটির বেশি উৎসাহ বোনাস পাবেন না সরকারি ব্যাংকাররা

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক :  রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংক কর্মীদের ‘উৎসাহ বোনাস’ দেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন শর্ত জুড়ে দিয়েছে সরকার। ফলে এখন সরকারি ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ চাইলেও তিনটির বেশি বোনাস দিতে পারবে না। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভা ‘উৎসাহ বোনাস’ নামে গাইডলাইন প্রকাশ করেছে।

এতে বলা হয়েছে, ‘উৎসাহ বোনাস’ কোনো অধিকার নয়, এটি আর্থিক সুবিধা যা পর্ষদের বিশেষ বিবেচনায় দেওয়া হয়। এ বোনাস দেওয়ার ফলে সরাসরি নগদ অর্থের ওপর চাপ পড়ে এবং হ্রাস পায়। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকের আর্থিক সুবিধা দিতে ২০১৪ সালে খসড়া গাইডলাইন করা হয়। ওয়ার্কিং ফান্ডের ওপর নিট মুনাফার হারের ভিত্তিতে বোনাস দেওয়া সুপারিশ ছিল কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রভিশন সংরক্ষণের সুবিধা নিয়ে পরবর্তী প্রদর্শন করছে। ফলে প্রকৃতপক্ষে ব্যাংকগুলোর প্রভিশন ঘাটতি সমন্বয় করলে নিট মুনাফার পরিবর্তে লোকসান হতো বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় জানায়, রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলো সরকারের বিভিন্ন খাতের স্বল্প সুদের ঋণ দেয়, বিনা মূল্যে সরকারের বিভিন্ন সেবা প্রদান করে এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবা দেয়। ফলে তারা কাঙ্ক্ষিত মুনাফা অর্জন করতে পারে না। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলোর সার্বিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন কর্মকর্তাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের লক্ষ্যে উৎসাহ বোনাস বিষয়ে গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে।

নতুন নির্দেশনায় ব্যাংকগুলোর বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়ন হারের ওপর ২০ শতাংশ এবং পরিচালন মুনাফা হারের ওপর ৮০ শতাংশ স্কোর নির্ধারণ করা হয়েছে। এই স্কোরের ভিত্তিতে পরিচালন মুনাফা থেকে উৎসাহ বোনাস বণ্টন হবে। ফলে এখন থেকে কোনো ব্যাংক ৫০-এর নিচে স্কোর পেলে বোনাস দিতে পারবে না। আর ৫০ থেকে ৬০ স্কোর পেলে এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ উৎসাহ বোনাস পাবে, ৬১ থেকে ৭০ হলে দেড় মাস, ৭১ থেকে ৮০ হলে দুই মাস, ৮১ থেকে ৯০ হলে আড়াই মাস এবং ৯০-এর বেশি স্কোর হলে তিন মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ উৎসব বোনাস পাবেন সরকারি ব্যাংকাররা।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, এতদিন নিট মুনাফা বিবেচনা করে নিজ নিজ ব্যাংকের পর্ষদ সিদ্ধান্ত নিত উৎসাহ বোনাস কত হবে। এতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীরা বছরে তিন থেকে চারটি করে বোনাস পেত। নতুন নির্দেশনার ফলে তিনটির বেশি বোনাস দিতে পারবে না সরকারি ব্যাংকগুলো। এ গাইডলাইন বাস্তবায়ন ও স্কোর নির্ধারণের জন্য বেশ কয়েকটি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে যদি কেউ এ গাইডলাইনের বাইরে উৎসাহ বোনাস দিতে চায় তাহলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সম্মতি নিতে হবে। ব্যাংকের মোট পরিচালন আয় থেকে মোট পরিচালন ব্যয় বাদ দিয়ে পরিচালন মুনাফা হিসাব করতে বলা হয়েছে গাইডলাইনে।

আজকের বাংলা তারিখ

November ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Oct    
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০


Our Like Page