অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগ্রামী ও গাজাবাসীর নজিরবিহীন দৃঢ়তার প্রশংসা করে বলেছেন, পাশ্চাত্যের পূর্ণ সমর্থনে পরিচালিত ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞ ও বর্বরতার বিরুদ্ধে গাজার জনগণের ঐতিহাসিক ধৈর্য একটা বিশাল ঘটনা যা পবিত্র ইসলাম ধর্মকে সম্মানিত করেছে।
গতকাল (মঙ্গলবার) বিকেলে তেহরানে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়া ও তার সফরসঙ্গীদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেন, গাজার জনগণের ধৈর্যের এই বিশাল ঘটনা শত্রুর ইচ্ছার বিপরীতে ফিলিস্তিন ইস্যুকে বিশ্বের প্রধান ইস্যুতে পরিণত করেছে।
আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন, ফিলিস্তিন ইস্যু এবং গাজার মজলুম ও দৃঢ়চেতা জনগণের প্রতি সমর্থনের ক্ষেত্রে কোনো ধরণের দ্বিধা করবে না ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান।
দখলদার ইসরাইলের হামলায় শহীদ হামাস নেতা সালেহ আল আরুরি’র কথা স্মরণ করে সর্বোচ্চ নেতা বলেন, মহান শহীদ সালেহ আল-আরুরি ছিলেন একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। তাঁর পবিত্র শাহাদাৎ মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে পুরস্কার। আল্লাহর পথে তার সংগ্রামের পুরস্কার এটি।
ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন প্রচার ক্ষেত্রে অর্থাৎ বাস্তবতা তুলে ধরার ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত খুব ভালো করেছে বলে উল্লেখ করেন আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী। তিনি বলেন, প্রচারের ক্ষেত্রে ইহুদিবাদী শত্রুর চেয়ে এগিয়ে রয়েছে প্রতিরোধ আন্দোলন এবং এ ক্ষেত্রে আরও বেশি পদক্ষেপ নিতে হবে। গাজার জনগণের প্রতি মুসলিম উম্মাহসহ গোটা বিশ্ব বিশেষকরে আরবদের সমর্থনকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, গাজায় যে গণহত্যা ও নৃশংসতা চলছে তা যেকোনো বিবেকবান মানুষকেই ব্যথিত করে।
বৈঠকে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়া ফিলিস্তিন ইস্যুতে বিশেষ করে গাজার জনগণের প্রতি ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের জনগণ ও সরকারের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং গাজা যুদ্ধ সংক্রান্ত সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন। যুদ্ধের ময়দানের অবস্থা এবং রাজনৈতিক অগ্রগতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন তুলে ধরে তিনি বলেন, গত ছয় মাস ধরে গাজাবাসী ও প্রতিরোধ সংগ্রামীদের অনুকরণীয় ধৈর্য ও দৃঢ়তা তাদের দৃঢ় ঈমানের ফসল। আর এ কারণেই ইহুদিবাদী শত্রুরা এখন পর্যন্ত গাজা যুদ্ধে তাদের একটি লক্ষ্যও অর্জন করতে পারেনি। #
Leave a Reply