স্টাফ রিপোর্টার : ঝিনাইদহের মহেশপুরের সলেমানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বাগাডাঙ্গা মহিউদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এখন ভুট্টা ব্যবসায়ীদের গুদাম ঘর ও খেলার মাঠ দু’টি ভুট্টার চাতালে পরিণত হয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভুট্টা ব্যবসায়ীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দু’টির খেলার মাঠে ভুট্টার চাতালে পরিনত করে রেখেছে। এছাড়াও বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষগুলো ভুট্টা ব্যবসায়ীদের গুদাম ঘর হিসাবে ব্যবহার করছেন। এতে করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ এলাকার শিশু কিশোরদের খেলাধুলা বন্ধ হয়ে গেছে। অন্যদিকে বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষ গুদাম ঘর হিসাবে ব্যবহারের কারণে জনসাধারণের মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে নানা প্রশ্ন।
সলেমানপুর গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন জানান, টাকার বিনিময়ে ভুট্টা ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদ ও মোবারক বেশ কিছুদিন ধরে ভুট্টা শুকাচ্ছেন। এতে করে এলাকায় শিশু কিশোরদের খেলাধুলা একেবারেই বন্ধ রয়েছে। কেউ কিছু বলতে গেলে মারধরের হুমকি দেয় ভুট্টা ব্যবসায়ীরা।
এলাকাবাসী বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ উদ্ধার করে খেলাধুলার উপযোগী করার দাবি জানিয়েছেন।
সলেমানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিম রেজার দাবি খেলার মাঠটির কিছু অংশ ব্যক্তি মালিকানা হওয়ায় তারা ভুট্টা ব্যবসায়ীদের কাছে ভাড়া দিয়েছেন।
মহিউদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ ও শ্রেনী কক্ষ ভুট্টা ব্যবসায়িরা কিছু টাকার বিনিময়ে ভাড়া নিয়েছে। বাঘাডাঙ্গা গ্রামের একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, ভুট্টা ব্যবসায়ী জাহিদ ও আসাদ বিদ্যালের মাঠ ও কয়েকটি শ্রেনিকক্ষ ভাড়া নিয়ে ১ মাসেরও বেশি সময় ধরে ভুট্টা শুকিয়ে বিক্রয় করছেন। এতে করে এলাকার কিশোরদের খেলাধুলা বন্ধ হয়ে গেছে। তারা বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ ও শ্রেনী কক্ষ উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন। মহিউদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মশিউর রহমান জানান, বিদ্যালের মাঠ বা শ্রেনী কক্ষ ভাড়া দেয়া হয়নি তবে ভুট্টা শুকানোর জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে মাত্র।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দীনেশ চন্দ্র পাল জানান, রাজনৈতিক চাপের কারণে খেলার মাঠে ভুট্টা শুকানো ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারছি না। কারণ ভুট্টা ব্যবসায়ীরা স্থানীয় রাজনীতির সাথে জড়িত। শুধু তাইনা তারা অনেক ক্ষমতাবান। তাই আমরা তাদের কাছে একেবারেই নিরুপায়।
Leave a Reply