অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বৈশাখের টানা ছুটিতে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে আসতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। ঈদের দিন তুলনামূলকভাবে পর্যটক কম হলেও ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে বাড়ছে পর্যটকের সংখ্যা। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে তরুণ-তরুণীসহ নানা বয়সী পর্যটক এখন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে জড়ো হয়েছেন। মেতেছেন ঈদের আনন্দে।
কলাতলী মেরিন ড্রাইভ হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান দাবি করছেন, ঈদ এবং বৈশাখের ছুটিতে কক্সবাজারে ৫ লাখের অধিক পর্যটকের সমাগম হবে। এই মুহূর্তে আমাদের সমিতির অন্তর্ভুক্ত সকল হোটেলের রুম শতভাগ বুকিং। অনেক পর্যটক রুম চাইলেও দিতে পারছি না। পর্যটক আরও বাড়বে। কারণ একদিন পর পহেলা বৈশাখ। ঈদ ও পহেলা বৈশাখের ছুটিতে আমরা কয়েকশ কোটি টাকার ব্যবসার আশা করছি।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে সৈকত ঘুরে দেখা গেছে, সারা দেশ থেকে আসা পর্যটকরা সাগরের নোনাজলে গোসলে নেমেছেন। কেউ ওয়াটার বাইক নিয়ে সৈকতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ রোদ থেকে বাচঁতে কিটকটে (চেয়ার-ছাতা) গা এলিয়ে দিগন্ত ছোঁয়া নীল জলরাশিতে মজে আছেন।
পর্যটকদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত বিচ কর্মী মাহবুব বলেন, সকাল থেকে পর্যটককের সমাগম বাড়ছে। এটি সন্ধ্যার দিকে লাখ পার হবে। কোনো পর্যটক হয়রানি হলে সেটি অভিযোগ সহকারে নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট স্যার ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
হোটেল বে কুইনের ম্যানেজার এনাম বলেন, আজ থেকে টানা কয়েকদিন রুম বুকিং আছে। অনেক পর্যটক রুম চাইলেও দিতে পারছি না। আগামীকাল থেকে এই পর্যটক আরও বাড়বে।
ঢাকার উত্তরা থেকে আসা পর্যটক নোমান বলেন, পরিবার নিয়ে ছুটি কাটাতে কক্সবাজারে এসেছি। আমি তারকা মানের হোটেল ওশানপ্যারাডাইসে উঠেছি। প্রথমে নোনা জলে শরীরটা ভিজিয়ে নিতে সৈকতে আসলাম। অনেক ভালো লাগছে। নিরাপত্তাও বেশি।
আরেক পর্যটক দিলদার বলেন, সকালে কক্সবাজারের কলাতলীর ডলফিন মোড়ে নেমেছি। হোটেল বুকিং না দিয়ে আসায় রুম পেতে একটু ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। তারপরও ভালো লাগছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা বলেন, সকাল থেকে আমরা মাঠে আছি। পর্যটক হয়রানির অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি। হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোতে আমরা নিয়মিত মনিটরিং করছি। এখনো পর্যটকদের খাবার নিয়ে অভিযোগ ওঠেনি। আমরা সব সময়ই মাঠে আছি।
Leave a Reply