30 Jun 2024, 04:56 pm

সরকারি খরচায় অসচ্ছল বিচারপ্রার্থীদের ৪,০৫,০৯২টি আইনি পরামর্শ সেবা প্রদান

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার অধীনে (লিগ্যাল এইড) সরকারি খরচায় অসচ্ছল বিচারপ্রার্থীদের ৪ লাখ ৫ হাজার ৯২টি আইনি পরামর্শ সেবা প্রদান করা হয়েছে।

সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার (লিগ্যাল এইড) মাধ্যমে আইনি সহায়তার তথ্য প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, লিগ্যাল এইডে এডিআর-এর মাধ্যমে মামলা নিস্পত্তি হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৯১৩টি। এডিআর এর জন্য উদ্যোগ নেয়া হয় ১ লাখ ২৪ হাজার ৯৫৮টি মামলায়।
প্রতিবেদন আরো বলা হয়, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত সরকারী খরচায় লিগ্যাল এইডে অসচ্ছল বিচারপ্রার্থীদের আইনি সহায়তা দেয়া হয়েছে ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৮৮৬টি মামলায়। এর মধ্যে আইনি সহায়তার মাধ্যমে ১ লাখ ৯৪ হাজার ১২২টি মামলা নিস্পত্তি হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে আইনি পরামর্শ সেবা দেয়া হয়েছে ৪ লাখ ৫ হাজার ৯২টি। মোট ১০ লাখ ২২ হাজার ৯৫৮ জন সরকারি খরচায় এ আইনি সহায়তা পেয়েছেন। অসচ্ছল বিচারপ্রার্থীদের ১৮৭ কোটি ৪৪ লাখ ৬১ হাজার ৬৮৭ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করে দেয়া হয়েছে। সেবা গ্রহণকারীদের মধ্যে সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে ২৭ হাজার ৪২৪ জন, দেশের ৬৪টি জেলার লিগ্যার এইড অফিসের মাধ্যমে ৮ লাখ ২ হাজার ৪০৭ জন, ঢাকা ও চট্রগ্রাম শ্রমিক আইনি সহায়তা সেলের মাধ্যমে ২৮ হাজার ৩৩০ জন এবং জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার নির্ধারিত হটলাইন কলসেন্টার ১৬৪৩০ নম্বরে (টোল ফ্রি) ১ লাখ ৬৪ হাজার ৭৯৭ জন বিনামূল্যে আইনি সহায়তা পেয়েছেন। জাতীয় হেল্পলাইন সৃষ্টির আগে হটলাইনের মাধ্যমে ১৭ হাজার ৩২৮ জনকে সরকারি খরচায় আইনি সেবা প্রদান করা হয় বলে প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে।
দেশের সকল আদালত, সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্টে ’লিগ্যাল এইড’ এখন দরিদ্র ও অসহায় বিচারপ্রার্থীদের নিকট ভরসাস্থল হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। ২০০৯ সাল থেকে সংস্থাটি জেলা পর্যায়ে কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে সুপ্রিমকোর্ট ও শ্রম আদালতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর ব্যাপ্তি বৃদ্ধি পায়। সুপ্রিমকোর্টে ২০১৫ সালে লিগ্যাল এইড অফিস প্রতিষ্ঠা করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক :  মুন্সীগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলার বেতকা ইউনিয়নের চাংগুরী গ্রামে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে রমজান পাল (৪৫) নামের এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে টংগিবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

রমজান পাল চাংগুরী গ্রামের সুনিল পালের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (২৯ জুন) দিবাগত রাত ৩টার দিকে রমজান পাল তার নিজ বাড়ির শয়নকক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় ঘরের সিঁধ কেটে কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।

আহত রমজান পাল বলেন, রাত ৩টার দিকে কে বা কারা আমার ঘরে সিঁধ কেটে ঢুকে আমাকে এলোপাতাড়ি কোপ শুরু করে। আমি হাত দিয়ে ফেরাতে গেলে হাতের বেশকিছু অংশ কেটে যায়। আমার চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা পালিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি আরও তিনবার আমার বাড়িতে রাতের আঁধারে কে বা কারা সিঁধ কাটে। আমি থানায় গিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি।

রমজান পালের স্ত্রী মিতালী ঘোষ বলেন, রাতে ঘরের সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকলে আমি তাদের দেখে কে কে বললে তারা আমাকে ধমক দিয়ে আমার স্বামীকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। আমাদের চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী উদ্ধার করে আমার স্বামীকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। আমরা এখন আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

প্রতিবেশী সাইফুল ইসলাম বলেন, রাত ৩টার দিকে চিৎকার শুনে এসে দেখি রমজান পালকে কারা যেন কুপিয়ে জখম করে চলে গেছে। এর আগেও তিনবার তার ঘরে সিঁধ কেটে তার ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে।

তিনি আরও বলেন, একদিকে সাপের আতঙ্ক অন্যদিকে চোর-ডাকাতের। আমরা এলাকাবাসী এখন কোথায় যাব? আমরা অনেক আতঙ্কে আছি।

এ ব্যাপারে টংগিবাড়ী থানা পুলিশের ওসি মোল্লা সোহেব আলী বলেন, এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মুন্সীগঞ্জে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম

  • Visits Today: 2165
  • Total Visits: 885000
  • Total Visitors: 4
  • Total Countries: 1167

আজকের বাংলা তারিখ

  • আজ রবিবার, ৩০শে জুন, ২০২৪ ইং
  • ১৬ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (বর্ষাকাল)
  • ২৩শে জ্বিলহজ্জ, ১৪৪৫ হিজরী
  • এখন সময়, বিকাল ৪:৫৬

Archives

MonTueWedThuFriSatSun
  12345
2728     
       
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
31      
  12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930   
       

https://youtu.be/dhqhRb9y018