01 Mar 2025, 07:00 am

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় তিন পুলিশ কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২ টায় নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে সাক্ষ্য দেন তারা।

সাক্ষ্য দেওয়া তিন পুলিশ কর্মকর্তা হলেন- সোনারগাঁ থানার এএসআই মতিউর রহমান, কর্ণ কুমার হালদার ও শেখ ফরিদ।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলায় তিন পুলিশ কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। মামুনুল হক বাদীকে ধর্ষণ করেছে বলে আদালতে তারা সাক্ষ্য দিয়েছেন। এই তিন পুলিশ কর্মকর্তাসহ এখন পর্যন্ত ১৮ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। তারা প্রত্যেকে মামলার বাদীর বরাত দিয়ে বলেছে, মামুনুল হক বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাদীকে ধর্ষণ করেছে।’

আসামি পক্ষের আইনজীবী এ কে এম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, ‘মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় আজ তিন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ছয় জনের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে পুলিশের তিন জন এএসআই সাক্ষ্য দিয়েছেন। আজকের প্রথম সাক্ষী ও এএসআই শেখ ফরিদ আদালতে দাঁড়িয়ে যে সাক্ষ্য দিয়েছেন এবং তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে তিনি যে জবানবন্দি দিয়েছেন উভয়ের কোনও মিল নেই। এতে প্রমাণিত হয়, এই মামলা একটি বানোয়াট মামলা ও ষড়যন্ত্রমূলক।’

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করা অবস্থায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মামুনুল হককে ঘেরাও করেন। পরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে নিয়ে যান। ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন তার সঙ্গে থাকা ওই নারী। কিন্তু মামুনুল হক দাবি করেছিলেন, ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী।

 

 

 

মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আদালতে ৩ পুলিশ কর্মকর্তার স্বাক্ষ্য প্রদান

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : কুমিল্লা জেলায় জনপ্রিয় হচ্ছে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষ। চলতি মৌসুমে কুমিল্লার দুইশ’ একর জমিতে এপদ্ধতিতে ধান চাষ করা হচ্ছে। জেলার চৌদ্দগ্রাম, মুরাদনগর ও দাউদকান্দিতে এ পদ্ধতিতে ধান চাষ করা হচ্ছে। এতে শ্রমিক সংকট দূর হবে। ধান চাষে খরচ কমে আসবে।
কৃষি অফিসের সূত্রমতে, প্রতিনিয়ত কমছে কৃষি শ্রমিক। এ সমস্যার সমাধানে একটি কার্যকরী উপায় বের করেছেন কৃষি বিজ্ঞানীরা। পদ্ধতিটির নাম দিয়েছেন তাঁরা সমলয়। নতুন এ পদ্ধতিতে বীজতলা থেকে ফসল কাটা পর্যন্ত, সবই এক সময়ে একযোগে করা হবে। স্বল্প মানুষের সাহায্যে কাজটা করবে যন্ত্র। জমির অপচয় রোধে এ পদ্ধতিতে প্রচলিত রীতিতে বীজতলা তৈরি না করে প্লাস্টিকের ফ্রেম বা ট্রেতে লাগানো হবে ধানের বীজ। ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে চারা হবে। তারপর রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টারের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ করা হবে। একটা ট্রান্সপ্ল্যান্টার এক ঘণ্টায় এক একর জমিতে চারা লাগাতে পারে, বেঁচে যায় শ্রমিকের খরচ। চারা একই গভীরতায় সমানভাবে লাগানো যায়। একই সময় রোপণ করায় নির্দিষ্ট এলাকায় সব ধান পাকেও একই সময়। মেশিন দিয়ে একই সঙ্গে সব ধান কাটা ও মাড়াই করা যাবে।
দাউদকান্দির কৃষি উদ্যোক্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। এটিকে কাজে না লাগালে ব্যয় বাড়বে। কৃষক কৃষি বিমুখ হয়ে পড়বেন। মেশিনের সাহায্যে ধান লাগানোর কারণে কৃষকের খরচ কম লাগছে।
এ বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তা মো. সারোয়ার জামান বলেন, প্রতি একর জমিতে ধান লাগাতে ১২-১৫ হাজার টাকা শ্রমিকের মজুরি দিতে হয়। সেখানে মেশিনে ধান লাগালে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা খরচ হবে। সময়ও কম লাগবে। কাটতে সময় এবং খরচ কম লাগবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ধান লাগানোর মেশিন কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। একটি ছোট মেশিনের দাম সাড়ে চার লাখ টাকার মতো। সরকার এতে ৫০ ভাগ ভর্তুকি দিবে। কুমিল্লা অঞ্চলের কৃষক সচেতন। তাই এখানে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষ।

 

 

কুমিল্লায় জনপ্রিয় হচ্ছে সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহে কৃষক কল্যাণ ভার্মিকম্পোষ্ট (কেঁচো সার) ও জৈব সার উৎপাদন কারখানার উদ্বোধন করা হয়েছে।

১৫ ফেব্রুয়ারী বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত গ্রীন চাষী ইদ্রিস আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আজগর আলী।এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার বিজয় কৃষ্ণ হালদার,সদর উপজেলা কৃষি অফিসার জাহিদুল করিম, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার জুনাইদ হাবীব, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সজিত জোয়ার্দার ও সমর কুমার মিত্র।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কৃষক আসাদুজ্জামান খান লাবু, সাইফুল ইসলাম সেন্টু ও জলিল মিয়া।বক্তারা কৃষিতে জৈব সার বেশি বেশি ব্যবহার করার আহ্বান জানান।

 

 

ঝিনাইদহে কৃষক কল্যাণ ভার্মিকম্পোষ্ট ও জৈব সার উৎপাদন কারখানার উদ্বোধন 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি দৈনিক নবচিত্রে“ হরিণাকুণ্ডুতে নবায়নবিহীন অবৈধ্য ক্লিনিক ডবয়াগনিস্টিক সেন্টারের জমজমাট ব্যবসা বন্ধের দাবী” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। যার পরিপেক্ষিতে ঝিনাইদহ জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ শুভ্রা রানী দেবনাথ অভিযানে যান। সরোজমিনে প্রকাশিত সংবাদের সত্যতা পেয়ে সকল বেসরকারি ক্লিনিককে নবায়নের জন্য ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন বলে জানান তিনি। তিনি বলেন পরিদর্শনকালে নিউরেসিডো প্রাইভেট হাসপাতালে কোন ডিপ্লোমা নার্স পাওয়া যায় নাই। এছাড়াও অন্যান্য হাসপাতালের অবস্থাও মানহিন। এসব ক্লিনিকে,ডাক্তার,নার্স,আয়া, লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি,পরীক্ষার উপকরণ কোন কিছুই নিয়মমাফিক পাওয়া যায় নাই।
উল্লেখ্য গত ২৩ আগস্টেIJ২০২১ এর মধ্যে বেসরকারি হাসপাতালের লাইসেন্স নবায়ন না করলে তাদের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ০৮ আগস্টেIJ২০২১  তারিখ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টাস্কর্ফোসের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। বর্তমান সরকার স্বাস্থ্য সেবাকে জনগনের কাছে পৌছে দেয়ার সর্বোচ্চ উদ্যোগ গ্রহন করেছে কিন্তু এর পরও ঝিনাইদহের হরিনাকুÐ উপজেলায় বেসরকারি হাসপাতালের লাইসেন্স নবায়ন করনে কোন ভূমিকা রাখেনি ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন। ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডুতে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠছে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে রোগী সেবার নামে চলছে প্রতারণা। অপরদিকে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের অর্থ। একাধিক সুত্রে প্রকাশ উপজেলাতে অবৈধ পন্থায় গড়ে উঠেছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র , লাইসেন্সও যন্ত্রপাতি ছাড়াই ক্লিনিক ও হাসপাতাল। এ সব ক্লিনিকের নেই প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, পরীক্ষার উপকরণ, ডাক্তার ও নার্স। শুধু রোগীদের সেবার নামে চলছে প্রতারণা ও ভোগান্তি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ উপজেলাতে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যক্তি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সেবার নামে অসহায় রোগীদের নিকট থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের অর্থ। হরিণাকুÐতে এই রকম একটি লাইসেন্সবিহীন বেসরকারি হাসপাতাল হচ্ছে  নিউ রেসিডো (প্রাঃ) হাসপাতাল । বর্তমানে এই ক্লিনিকটির বেহালদশা। সরকারি বিধিমতে একটি ক্লিনিকে কমপক্ষে তিন জন এমবিবিএস চিকিৎসক, ছয় জন নার্স ও দুই জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী থাকার কথা। প্রতিটি শয্যার জন্য থাকতে হয় ৮০ বর্গফুট জায়গা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অপারেশন থিয়েটার, এর সঙ্গে আরও দরকার হবে ট্রেড লাইসেন্স, টিআইএন (টেক্স আইডেনটিফিকেশন নম্বর) ও বিআইএন (বিজনেস আইডেনটিফিকেশন নম্বর), সঙ্গে পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র। তবে শয্যা সংখ্যা বেশি হলে আনুপাতিক হারে জনবল থাকতে হবে কিন্তু বাস্তবে এর কোন মিল নেই এই নিউ রেসিডো (প্রাঃ) হাসপাতালের। নেই কোন আধুনিক যন্ত্রপাতি এবং নারকোটিকসের লাইসেন্স। নারকোটিকসের লাইসেন্স ব্যাতিত প্রাইভেট হাসপাতালের সরকারি অনুমোদন সম্ভব নয়। তারপরও এই প্রতিষ্ঠান এই সবের তোয়াক্কা না করে দেদারছে চালিয়ে যাচ্ছে মানুষ মারার ব্যাবসা। ঝিনাইদহ জেলা সিভিল সার্জনের এই তৎক্ষনাৎ অভিযানে তিনি সর্বমহলের প্রসংসা কুড়িয়েছেন।

 

পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর লাইসেন্স নবায়নে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দিলেন ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন

স্টাফ রিপোর্টার : ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের স্বপ্নের বাড়ি ‘বীর নিবাস’ পেলেন ২৬ অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার। বুধবার (১৫ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রধানমন্ত্রী সারা দেশের মতো মহেশপুরেও ২৬টি ঘর ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন।

এ উপলক্ষে মহেশপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নয়ন কুমার রাজবংশীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মহেশপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাজ্জাদুল ইসলাম সাজ্জাদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক আজা, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মেহেরুননেছা, মুক্তিযোদ্ধা চলাকালীন সেক্টর কমান্ডার ফয়জুর রহমান চৌধুরী,  উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবু তালেব, সাবেক পৌর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কামন্ডার কাজী আব্দুস সাত্তার।

এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান, শিক্ষক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, তাদের পরিবারের সদস্যগণ ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নয়ন কুমার রাজবংশী বলেন, ‘অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে এ ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। সঠিক তদারকি ও সঠিক ডিজাইনের মাধ্যমে সচ্ছতার সঙ্গে ঘরগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে।

ঝিনাইদহের মহেশপুরে ২৬ জন অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা পেলেন স্বপ্নের বাড়ি ‘বীর নিবাস’

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রীকে রাতভর মানসিক নির্যাতন, চড়-থাপ্পড় এবং আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠেছে। শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রী।

জানা গেছে, ঘটনার পর ভুক্তভোগী ছাত্রী সোমবার সকালে ভয়ে হল ছেড়ে নিজ বাড়ি পাবনাতে চলে যান। রবিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে মঙ্গলবার তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, নবীনবরণের আগের দিন এক সিনিয়রের মাধ্যমে শেখ হাসিনা হলের কক্ষে গেস্ট হিসেবে ওঠেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। রবিবার সিনিয়রদের সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগ করেন তার বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তাবাসসুম ও ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি অন্তরা। পরে সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীকে হল থেকে বের করে দেওয়ার দাবি জানান তারা। পরদিন হল প্রভোস্ট ও প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতিতে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়। তাকে গণরুমে থাকতে বলেন হল প্রভোস্ট।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, ওইদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভুক্তভোগীকে ডাকেন অন্তরা ও তাবাসসুমসহ তাদের কয়েকজন সহযোগী। এ সময় তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হয়। তাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করা হয়। নাচতে বলা হয় এবং বিভিন্ন স্যারদের বিরুদ্ধে জোর করে বক্তব্য নেওয়া হয়। পরে ভয় পেয়ে সোমবার সকালে হল ছেড়ে চলে যান তিনি।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা বলেন, ‘সে যদি অভিযোগ করে তাহলে তাকে প্রমাণ দিতে বলেন। এ বিষয়ে আমি আর কিছু বলতে চাচ্ছি না।’

এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট শামসুল আলম বলেন, ‘গতকাল প্রথম বর্ষের এক মেয়ে কিছু সিনিয়রের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে বলে অভিযোগ করেছিল কয়েকজন ছাত্রী। পরে আমি ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা মিলে বিষয়টি মিটমাট করে দিই। কিন্তু পরে তার সঙ্গে কী হয়েছে এ বিষয়ে কেউ কিছু জানায়নি। ভুক্তভোগী অভিযোগ করলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেবো।’

বিষয়টি নিয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। এমনটি কখনোই কাম্য নয়। যদি ছাত্রলীগের কেউ এসবে জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, ‘আমি একটা প্রোগ্রামে আছি। পরে অফিসে গিয়ে অভিযোগপত্র দেখে উভয়ের সঙ্গে বসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

ইবির হলে রাতভর ছাত্রীকে নির্যাতন চালিয়েছে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা !

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে বৃষ্টি (১৫) নামে এক কিশোরীকে হত্যার দায়ে মো. আবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে আসামির উপস্থিতিতে এই রায় দেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জয়শ্রী সমদ্দার।

মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত আবুল হোসেন হরিরামপুর উপজেলার সরফদিনগর এলাকার মৃত হাসমত আলীর ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, আসামি আবুল হোসেন বৃষ্টিকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিলে তার মা তাকে বাড়িতে আসতে নিষেধ করেন। অন্যত্র বিয়ে ঠিক হলে আবুল বৃষ্টির মাকে হুমকি দেয় কিভাবে বিয়ে দেয় তা আমি দেখে নিবো। ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসের ৫ তারিখে বৃষ্টিকে বাড়িতে রেখে তার মা উপজেলার মাচাইন এলাকায় গেলে দূর থেকে আবুল তা লক্ষ্য করে। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে পালিয়ে যান। রক্তাক্ত অবস্থায় বৃষ্টি বাড়ি থেকে বের হয়ে হানিফের বাড়ির পেছনে এসে পড়ে সেখানেই মারা যান। এ ঘটনায় হরিরামপুর থানায় বৃষ্টির মা আকলিমা বাদী হয়ে ওই দিনই হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আদালতে আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদণ্ডসহ ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দন্ডিত করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সরকারি কৌশুলী অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম ও আসামিপক্ষের মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মো. মতিয়র রহমান আঙ্গুঁর।

 

মানিকগঞ্জে কিশোরীকে হত্যার দায়ে ১ জনের মৃত্যুদণ্ড

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসও। এই একটি দিবস ঘিরে গত দুই দিনে রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ও সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুই কোটি টাকার গোলাপ বিক্রি করেছেন চাষিরা।

বসন্ত উৎসব ও ভালোবাসা দিবসে রেকর্ড পরিমাণ ফুল বিক্রি করতে পেরে বেশ খুশি গদখালীর চাষিরা। তারা বলছেন, আশানুরূপ ফুল বিক্রি হয়েছে। ক্ষেত্রবিশেষে গতবারের তুলনায় এবার দ্বিগুণের বেশি ফুল বিক্রি হয়েছে। দামও পেয়েছেন ভালো।

ফুল ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভালোবাসা দিবস ঘিরে রবিবার ও সোমবার দুই কোটি টাকার শুধু গোলাপ বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি অন্য ফুলও বিক্রি হয়েছে বেশ।

ঝিকরগাছার গদখালী এলাকার ফুল চাষি রনি আহমেদ বলেন, ‘করোনা মহামারির পরে বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসে রেকর্ড পরিমাণ ফুল বিক্রি হয়েছে। গত দুই দিনে দুই লাখ টাকার ফুল বিক্রি করেছি। দামও ভালো পেয়েছি।’

এবার খুব ভালো বেচাকেনা হয়েছে জানিয়ে পানিসারা এলাকার ফুল চাষি তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘ফুল তেমন একটা নষ্ট হয়নি। ১৪ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে মাঠ থেকে প্রায় এক লাখ টাকার ফুল বিক্রি করেছি। গোলাপ ও জারবেরা রয়েছে আমার ক্ষেতে। দুই বিঘা জমিতে চাষ করেছি এই দুই জাতের ফুল। ভালো দাম পেয়েছি এবার।’

বসন্ত উৎসব ও ভালোবাসা দিবসে গদখালী ও পানিসারা থেকে বিভিন্ন ফুল দেশের বিভিন্ন জেলায় যায়। ব্যবসায়ীরা এই দিবসকে সামনে রেখে মূলত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকেই ফুল সংগ্রহ করেন। কোনও রকম রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার ছাড়াই পাঁচ-সাত দিন গোলাপসহ অন্যান্য ফুল সতেজ রাখা সম্ভব। সে কারণে ব্যবসায়ীরা ১২-১৩ তারিখের আগেই চাহিদা অনুযায়ী ফুল সংগ্রহ করেছেন।

পানিসারা এলাকার ফুল ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকেই এখানকার চাষিরা ফুলের দাম পেতে শুরু করেন। বসন্ত ও ভালোবাসা উৎসবে গোলাপ, গ্লাডিওলাস, জারবেরা, রজনীগন্ধা, গাঁদা ও জিপসির চাহিদা থাকে বেশি।’

রফিকুল ইসলাম পিরোজপুর, ঝালকাঠি, কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলায় ফুল সরবরাহ করেন। চলতি বছর বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ফুল বিক্রি করেছেন।

রফিকুল বলেন, ‘উৎসবের আগের দিন বা দুইদিন আগে নয় ফুল বিক্রি ৮ ফেব্রুয়ারি থেকেই শুরু হয়ে যায়। ব্যবসায়ীরা ফুল বিশেষ করে গোলাপ ৫ থেকে ৭ দিন টাটকা রাখতে পারেন। ভালোবাসা দিবসে গোলাপ সর্বোচ্চ ২০ টাকা, গ্লাডিওলাস ১৪ টাকা, জারবেরা ১২ টাকা, রজনীগন্ধা ১০ টাকা, এক হাজার গাঁদা ৪০০ টাকা, এবং জিপসি ৫০ টাকা আঁটি বিক্রি হয়েছে।’

সরাসরি বাজারে কিংবা আড়তে নয় অনলাইনেও ফুল বিক্রি করেছেন এ অঞ্চলের নতুন ব্যবসায়ী আল আমিন। জানুয়ারি মাসের তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে অনলাইনে একটু বেশি বিক্রি হয়েছে তার। আল আমিন বলেন, ‘ভালোবাসা দিবসে প্রায় ৮০ হাজার টাকার ফুল বিক্রি করেছি। প্রতিদিন যে অর্ডার পাই সে অনুযায়ী পাঠিয়ে থাকি। জানুয়ারি মাসে সব খরচ বাদে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা মুনাফা হয়েছে। মধ্য ফেব্রুয়ারিতে প্রায় কাছাকাছি। এ মাসে ত্রিশ হাজার ছাড়াবে বলে মনে হচ্ছে।’

আল আমিন গ্রাহকের চাহিদার ফুল যাত্রীবাহী বাস বা ট্রাকে করে পাঠান। এক্ষেত্রে কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবহার করেন না। তবে ফুলের গাছ অথবা বীজ পাঠাতে কুরিয়ার সার্ভিসের ব্যবহার করেন।

২০২০ সালে তিনি অনলাইনে এ ব্যবসা শুরু করেন। প্রথম দিকে শুধু ফুলের বীজ ও ফুলের চারা পাঠাতেন। পরে যুক্ত হয় টাটকা ফুল।

বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার্স সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, ‘৭ ফেব্রুয়ারির পর থেকেই গোলাপের দাম ১০ টাকা থেকে বাড়তে শুরু করে। ৮ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ২৫ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে। ভালোবাসা দিবসে গত দুই দিনে প্রায় দুই কোটি টাকার গোলাপ বিক্রি হয়েছে। এখনও গদখালী ও পানিসারার মাঠে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার গোলাপ রয়েছে। একুশে ফেব্রুয়ারি নাগাদ এগুলোও বিক্রি হয়ে যাবে।’

স্থানীয় সূত্র জানায়, ঝিকরগাছার গদখালী ও পানিসারা ইউনিয়নের চাষিরা সারা বছরই ফুল চাষ করেন। তাদের উৎপাদিত রজনীগন্ধা, গোলাপ, জারবেরা, গাঁদা, গ্লাডিওলাস, জিপসি, রডস্টিক, কেলেনডোলা, চন্দ্রমল্লিকাসহ ১১ ধরনের ফুল সারা দেশের বিভিন্ন আয়োজনের অনুষঙ্গ হয়।

বিশেষ করে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, বিজয় দিবস, খ্রিষ্টীয় নববর্ষ, বসন্ত উৎসব, ভালোবাসা দিবস, স্বাধীনতা দিবস ও পহেলা বৈশাখে ফুলের বিকল্প নেই। ২১ ফেব্রুয়ারিতে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় ফুল দিয়ে। তাই এসব দিবসে ফুল বেচাকেনা হয় বেশি।

এ বছর ৬৩০ হেক্টর জমিতে ফুল চাষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন পলাশ। তিনি বলেন, ‘আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফুলের উৎপাদন বেড়েছে। আমাদের আশা, এ বছর এই অঞ্চলে ফুল বিক্রি ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।’

এ বছর গদখালীতে ফুলের মেলা করায় বিক্রি আরও বেড়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘বসন্ত, ভালোবাসা আর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এই অঞ্চলের চাষিরা এবার ১০০ কোটি টাকা ফুল বিক্রি করতে পারবেন। কেননা এবারও টিউলিপ আর লিলিয়ামের মতো দামি ফুল ওই সময়ে বাজারে উঠবে। সেইসঙ্গে দাম ভালো পাবেন চাষিরা।’

 

ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে যশোরের গদখালীতে ২ কোটি টাকার গোলাপ বিক্রি

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : মাদারীপুরে মজিবুর রহমান খান (৬৫) নামের এক সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা।

সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ৯টার দিকে মাদারীপুর শহরের আছমত আলী খান সড়কের ২ নম্বর শকুনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত মজিবুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পেয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান।

জানা গেছে, রাত সোয়া ৯টার দিকে বাজার করে সদর মডেল থানার সামনে থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। বাসার কাছে পৌঁছালে চার-পাঁচজন দুর্বৃত্ত তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মাথা ও দুই পায়ে জখম করে। তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হামলাকারীদের খুঁজে আইনের আওতায় আনা হবে।’

 

মাদারীপুরে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে জখম 

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : কুমিল্লার নগর উদ্যানে নারী উদ্যোক্তাদের উদ্যোগে বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে বসন্ত মেলা চলছে। মেলায় ৫০টি স্টলের মধ্যে ৩০টি স্টল দেশি খাবারের।
মেলা ঘিরে দেখা যায়, ঘরের তৈরি খাবারের মধ্যে রয়েছে সবজি রোল, চিকেন রোল, গজা, সন্দেশ, পাকোড়া, চকলেট, নারু, মোয়া, বিভিন্ন ধরনের কেক, পিঠা, আঁচার, মধু, হাতের তৈরি গহনা,  মেলার পরিচালক জেবুন্নেছা শাহনাজ বাসসকে জানান, ১০ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করি। ১৫ মাসে ভালো সফলতা পাই। কেক তৈরির ক্রিমটা বেশি বিক্রি হয়।
এ মেলার আয়োজক নারী উদ্যোক্তা হালিমা খাতুন রিতু জানান, কেনা-বেচা ডট কম ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে এ মিলনমেলা। এখানে মোট ৫০ টি স্টল রয়েছে। নারী উদ্যোক্তা রয়েছেন শতাধিক। বিক্রি ভালই হচ্ছে। ইতিপূর্বে একদিনের আয়োজনের করেছি। মানুষের প্রচুর আগ্রহ দেখে, এবারও তিন দিনের আয়োজন করেছি। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে এ মেলা। তিনি আরও জানান, কাজ শুরু করার সময় আমার টাকা ছিলো না। ফেসবুকে পোস্ট করি, একজন রোস্ট পোলাও অর্ডার করেন। তার থেকে অগ্রীম ৩০০ টাকা নিয়ে ৫৩০ টাকা পণ্য বিক্রি করি। আলহামদুরিল্লাহ, এখন গত দশ মাস কাজ করে আমি লক্ষ টাকা আয় করেছি।
ক্রেতা মনির খন্দকার এসেছেন তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে। তিনি বাসসকে বলেন, মেলায় বেশি ভালো লেগেছে দেশি খাবারের সমাহার। বিশেষ করে সুস্বাদু পিঠা নজর কেড়েছে।
আয়োজক কমিটির সদস্য জান্নাতুল পলি বাসসকে জানান, আমাদের ফাগুনী ভালোবাসার উৎসব এটি। এখানে ঘরোয়া খাবার, খাদি, বাটিক, হাতের কাজের পোশাক, শিশুদের নান্দনিক পোশাক মেয়েদের সাজ সরঞ্জাম, নকশি কাঁথা, থ্রি পিস, টু-পিস, মধু, কলোজিরা, মৃৎ শিল্পসহ শতাধিক পণ্যের সমাহার ঘটেছে। এখানে বেশি হচ্ছে ঘরোয়া খাবারের স্টল। খাবার বেশি বিক্রি হচ্ছে। প্রত্যাশার থেকে বেশি ক্রেতা এসেছে।

 

কুমিল্লার নগর উদ্যানে চলছে বসন্ত মেলা

স্টাফ রিপোর্টার : এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ৩৪ জন ছাত্র-ছাত্রী জিপিএ -৫ পাওয়ার মধ্য দিয়ে ঝিনাইদহের  মহেশপুরের শীর্ষে স্থান দখল করে নিয়েছেন যাদবপুর কলেজ।

২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় যাদবপুর কলেজ থেকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষায় ১২৯ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহন করে। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে শতভাগ জিপিএ-৫ সহ ১২৮ ছাত্র-ছাত্রী পাস করেছে।

যাদবপুর কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, কলেজের সকল শিক্ষক-শিখিক্ষা আর অভিভাবকদের প্রচেষ্টার কারনেই আজ যাদবপুর কলেজের এ সুনাম অর্জন করতে পেরেছে।

তিনি আরো জানান, অমি প্রতিটা অভিভাবকে কাছে কৃতজ্ঞ।

মহেশপুরের নামি দামি ১০টি কলেজকে টপকিয়ে যাদবপুর কলেজ আজ শীর্ষে উঠল।

 

 

 

 

এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ঝিনাইদহের মহেশপুরের শীর্ষে যাদবপুর কলেজ