অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বিশ্বে ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৪১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৬০ হাজার ২৩০ জন। বাইরে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭৪ হাজার ৬৫৪ জন।
ওয়েবসাইটির তথ্য বলছে, শুক্রবার বিশ্বে করোনায় দৈনিক মৃত্যুর হিসেবে শীর্ষে ছিল ফ্রান্স, আর এদিন একক দেশ হিসেবে এই রোগে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ায়।
বৃহস্পতিবার ফ্রান্সে কোভিডজনিত অসুস্থতায় মৃত্যু হয়েছে ১২৫ জনের এবং করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৪০০ জন।
একই দিন ১৩ হাজার ৫৯৬ জন নতুন আক্রান্ত রোগী নিয়ে দৈনিক আক্রান্তের হিসেবে শীর্ষে অবস্থান নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। পাশাপাশি, এদিন দেশটিতে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের।
জার্মানি এবং ভারত ব্যতীত বিশ্বের আরও যেসব দেশে শুক্রবার মৃত্যু ও সংক্রমণের উচ্চহার দেখা গেছে, সেসব হলো— জার্মানি (মৃত ১০৮, নতুন আক্রান্ত ১০৮ জন), যুক্তরাষ্ট্র (মৃত ৩৫ জন, নতুন আক্রান্ত ৪ হাজার ১৭২ জন), রাশিয়া (মৃত ৩৩ জন, নতুন আক্রান্ত ৬ হাজার ৩০৫ জন) এবং জাপান (মৃত ২৪ জন, নতুন আক্রান্ত ১০ হাজার ৭৪ জন)।
বিশ্বে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৫ লাখ ৪৮ হাজার ১৬১ জন। এদের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ২ কোটি ৫ লাখ ৮ হাজার ৬৭২ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ৩৯ হাজার ৪৮৯ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।
তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৬৮ কোটি ৬৩ লাখ ৪৬ হাজার ২৭৭ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে মোট ৬৮ লাখ ৫৯ হাজার ২৩৫ জনের।
এছাড়া গত প্রায় তিন বছরে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ৬৫ কোটি ৮৯ লাখ ৩৮ হাজার ৮৮১ জন।