28 Feb 2025, 12:49 am

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের রূপালী ব্যাংকের জিনজিরা শাখায় ব্যাংক কর্মকর্তা ও গ্রাহকদের জিম্মি করে ডাকাতি চেষ্টার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ওই শাখার এক কর্মকর্তা বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় আত্মসমর্পণ করা তিনজন— লিয়ন মোল্লা ওরফে নিরব (২২) ও অপর দুজন কিশোরকে (১৬) গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। লিয়ন গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার কুমুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা কবির মোল্লার ছেলে। দুই কিশোরের বাড়ি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কদমতলী খালপাড় এলাকায়। লিয়ন পেশায় গাড়িচালক। বাকি দুজনের একজন একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী, আরেকজন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রূপালী ব্যাংকের জিনজিরা শাখায় ডাকাতি চেষ্টার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় আত্মসমর্পণ করা তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাঁদের আজ দুপুরে আদালতে পাঠানো হবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লিয়ন মোল্লাকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হবে।

গতকাল বেলা ২টার দিকে চুনকুটিয়া পাকাপুল এলাকায় রূপালী ব্যাংকের জিনজিরা শাখায় ওই তিনজন হানা দেন। একপর্যায়ে তাঁরা ব্যাংকে কর্মরত ১০ ব্যাংক কর্মকর্তা ও ৬ গ্রাহককে খেলনা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করেন। তাঁরা ব্যাংকের কাউন্টার থেকে ১৮ লাখ টাকা লুট করেন। খবর পেয়ে ভবনটি ঘিরে ফেলেন স্থানীয় মানুষ ও যৌথ বাহিনী। সাড়ে তিন ঘণ্টা পর তিনটি অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণে বাধ্য হন ওই তিনজন। পরে তাঁদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হেফাজতে নিয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় নিয়ে আসা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, ডাকাতদের হাতে থাকা অস্ত্রগুলো ছিল ‘খেলনা পিস্তল’। তাঁদের কাছ থেকে চারটি খেলনা পিস্তল, দুটি চাকু, একটি লোহার পাইপ, একটি স্কুলব্যাগ, তিনটি মাস্ক, তিন জোড়া গ্লাভস ও তিনটি কালো চশমা উদ্ধার করা হয়েছে।

কেরানীগঞ্জে ব্যাংকে ডাকাতি চেষ্টার ঘটনায় আটক ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক :  ১৫ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরান ও ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিদের সংশ্লিষ্ট এসব ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ইরান এবং হুতিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তালিকায় একাধিক ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান ও জাহাজ রয়েছে।

ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, ইরানের পেট্রোলিয়াম এবং পেট্রোকেমিক্যালের বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত তিনটি জাহাজে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এসব জাহাজের মাধ্যমে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করে দেশটি। এ ছাড়া তারা তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে সমর্থন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়ন এবং হিজবুল্লাহ, হামাস ও হুতিদের সহায়তা দিয়ে আসছে।

মার্কিন ভারপ্রাপ্ত আন্ডার সেক্রেটারি ফর টেররিজম অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেনস ব্রেডলি স্মিথ জানান, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ডের জন্য অর্থায়নকারী মূল রাজস্ব উৎসগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইরান এসব কর্মকাণ্ডের জন্য জাহাজ, বিভিন্ন কোম্পানি এবং সহায়তাকারীদের একটি নেটওয়ার্কের ওপর নির্ভর করে।

অন্যদিকে ইরান জানিয়েছে, তাদের পারমাণবিক প্রকল্প মূলত শান্তিপূর্ণ লক্ষ্য অর্জনের জন্য।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা জাহাজগুলো হলো জিবুতির পতাকাবাহী ক্রুড অয়েল ট্যাংকার এমএস এনোলা, সান ম্যারিনোর পতাকাবাহী এমএস এনজিয়া ও পানামার পাতাকাবাহী এমএস মেলেনিয়া। নিষেধাজ্ঞার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা তাদের সকল সম্পত্তি জব্দ করা হবে। এ ছাড়া তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমও বাধাগ্রস্ত হবে।

ট্রেজারি বিভাগ আরও জানিয়েছে, হুতিদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার অভিযোগে ১২ ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এসব ব্যক্তির মধ্যে অন্যতম হলেন হাসিম আলি আহমদ আল মাদানি। তিনি হুতিদের সংশ্লিষ্ট সানার সেন্ট্রাল ব্যাংকের প্রধান। তার বিরুদ্ধে হুতিদের জন্য ইরান থেকে বেআইনিভাবে তেল পাচার, অস্ত্র পাচার ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ করা হয়েছে।

 

১৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ