26 Feb 2025, 05:02 pm

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান জানিয়েছে, দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শহর মাজারি শরীফে তারা উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশের আস্তানায় হামলা চালিয়েছে এবং এতে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী নিহত হয়।

তালেবান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ তার টুইটার একাউন্টে দেয়া এক পোস্টে এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তালেবান অভিযানে বেশ কয়েকজন দায়েশ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে এবং প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। মাজারি শরীফ শহরের কয়েকটি এলাকায় তালেবান এসব অভিযান পরিচালনা করে।

জবিউল্লাহ মুজাহিদ জানান, দায়েশ-বিরোধী অভিযানে তালেবান ফোর্সের একজন সদস্য আহত হয়েছেন।

এদিকে, বাল্খ প্রদেশের পুলিশের মুখ্যমন্ত্রী মোহাম্মাদ আসিফ ওয়াজির আফগানিস্তানের একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, অভিযানে দায়েশের তিনটি আস্তানা ধ্বংস হয়েছে। হামলায় নিহতরা সবাই তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানের নাগরিক।

 

আফগানিস্তানের মাজারি শরীফে দায়েশের আস্তানায় তালেবানের হামলা ; সন্ত্রাসী নিহত

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বাদশাহ সালমান ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে সৌদি সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তার এই আমন্ত্রণকে স্বাগত জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। ইরানের এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর আল-জাজিরার।

সম্প্রতি ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের একটি চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে ইব্রাহিম রাইসিকে চিঠি দিয়েছেন বাদশাহ সালমান। ওই চিঠিতে তাকে সৌদি সফরেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

এক টুইট বার্তায় ইরানের প্রেসিডেন্টের রাজনৈতিকবিষয়ক ডেপুটি চিফ অব স্টাফ মোহাম্মাদ জামশিহিডি এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সম্প্রতি পুনরায় সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে রাজি হয়েছে সৌদি আরব ও ইরান। এর অংশ হিসেবে দেশ দুইটি আগামী ৬০ দিনের মধ্যে দূতাবাস চালু করবে।

চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে আলোচনার পর সৌদি আরব ও ইরান এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিক্ষোভকারীরা সৌদি কূটনৈতিক পোস্টে আক্রমণ করার পর ২০১৬ সালে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল দেশটি।

 

সৌদি বাদশাহ সালমানের আমন্ত্রণকে স্বাগত জানালেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সম্প্রতিক ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্কের পাশাপাশি মারাত্মক বিপর্যয় দেখা যায় সিরিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির ওই এলাকায় ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তরা তাঁবু টানিয়ে বসবাস করছে। কিন্তু এবার সেখানে ভারি বৃষ্টির পর বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে কয়েক ডজন ক্যাম্প পানিতে তলিয়ে গেছে। খবর আল-জাজিরার।

সিরিয়ার একটি সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইদলিব প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলে ভারি বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব ক্ষতিগ্রস্তদের অনেকেই সম্প্রতি ভূমিকম্পের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়। সেখানের রাস্তাগুলোও ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

সিভিল ডিফেন্সের এক কর্মকর্তা জানান, হাফসারজাহ ও বিশমারুন শহরের ক্যাম্পের বেশ কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র প্লাবিত হয়েছে। তাছাড়া আদওয়ান গ্রামে মার্কেট ধসে পড়েছে।

তিনি বলেন, ভূমিকম্পের পর সেখানে বেশ কিছু ক্যাম্প তৈরি করা হয়। এক একটা ক্যাম্পে অসংখ্য তাঁবু রয়েছে। এবারের ভারি বৃষ্টিতে ৪০টির বেশি ক্যাম্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সুইস সিসমোলজি সার্ভিসের পরিচালক স্টেফান উইমার জানান, তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে যে ধরনের ভূমিকম্প হয়েছে সেটি গত একশ বছরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য।

ভূত্বকের টেকটোনিক প্লেটগুলোর নড়াচড়ার কারণে ভূমিকম্প হয়। প্লেটগুলোর আকার পরিবর্তিত হয়। দুটি টেকটোনিক প্লেটের মাঝে আছে ফল্ট লাইন। ভূমিকম্প সাধারণত এই ফল্ট লাইনের আশপাশে হয়ে থাকে। টেকটোনিক প্লেটগুলো ধীরে ধীরে সরে যায় এবং কখনও কখনও সঙ্গে লেগে থাকে আবার কখনও ফল্ট লাইনে কম্পন তৈরি করে। যখন এটি খুব বেশি বৃদ্ধি পায়, তখনই ভয়াবহ ভূ-কম্পন্ন অনুভূত হয়। যেটি তুরস্ক-সিরিয়ায় ঘটেছে।

 

সিরিয়ায় ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের থাকার জায়গাটুকুও এবার বন্যার কবলে

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবার ইউক্রেনে দখলকৃত মারিউপোল সফর করেছেন। দোনেস্ক অঞ্চলের এই শহরটি গত বছরের মে মাসে রুশ বাহিনী দখলে নেয়। খবর আল-জাজিরার।

ক্রেমলিনের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম তাস জানিয়েছে, হেলিকপ্টারে করে মারিউপোল যান পুতিন। এরপর তিনি সেখানের বেশ কিছু জেলা পরিদর্শন করেন।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের সম্প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, আবাসিক এলাকায় বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করছেন পুতিন। এ সময় উপ-প্রধানমন্ত্রী ম্যারাট খুসনুলিন তাকে বিভিন্ন বিষয়ে অবহতি করেন।

এর আগে ইউক্রেনের কাছ থেকে অধিগ্রহণের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ক্রিমিয়া পরিদর্শনে যান রুশ প্রেসিডেন্ট। শনিবার (১৮ মার্চ) পূর্বঘোষণা না দিয়েই তিনি ক্রিমিয়া চলে যান। এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের দায়ে পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

সেভাস্তোপলের রাশিয়া সমর্থিত গভর্নর মিখাইল রাজভোজায়েভ রুশ প্রেসিডেন্টকে অভ্যর্থনা জানান। একটি নতুন শিশুকেন্দ্র ও আর্ট স্কুলও ঘুরে দেখান পুতিনকে। রাশিয়ার কর্মকর্তারা প্রেসিডেন্ট পুতিনের এ সফরকে ‘আকস্মিক সফর’ বলে উল্লেখ করেছেন।

 

ক্রিমিয়ার পর এবার মারিউপোল সফর করলেন পুতিন

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আমেরিকার আরো প্রায় ২০০ ব্যাংক সিলিকন ভ্যালি  ও সিগনেচার ব্যাংকের মতো পতনের ঝুঁকি মুখে রয়েছে। নতুন একটি গবেষণা রিপোর্ট থেকে এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

এতে বলা হয়েছে, বাইডেন প্রশাসন সম্প্রতি অস্থিতিশীল বাজার শান্ত করার জন্য যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তা সত্ত্বেও এসব ব্যাংক পতনের ঝুঁকি মুখে রয়েছে। আমেরিকার চারজন বিশেষজ্ঞের গবেষণা রিপোর্টের বরাত দিয়ে আরটি জানিয়েছে, আমেরিকার প্রায় ২০০ ব্যাংক সিলিকন ভ্যালি ও সিগনেচার ব্যাংকের ভাগ্যবরণ করতে পারে।

গত সপ্তাহের সিলিকন ভ্যালি ও সিগনেচার ব্যাংক মারাত্মক রকমের অর্থ সংকটের পর বন্ধ হয়ে যায়। একইভাবে আরো ১টি ব্যাংক বন্ধ হয়েছে।
২০২২ সালের ৭ মার্চ থেকে ২০২৩ সালের ৬ মার্চ পর্যন্ত মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক শতকরা ৪.৫৭ ভাগ সুদের হার বাড়িয়েছে। যার কারণে এই সময়ে ব্যাংকগুলোর গচ্ছিত সম্পদের মূল্য উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমে যায়। মার্কিন চার অর্থনীতিবিদের গবেষণা রিপোর্ট সোশ্যাল সায়েন্স রিসার্চ নেটওয়ার্কে এ গত সপ্তাহে প্রকাশ হয়।

এতে বলা হয়েছে, একদিকে ব্যাংকগুলো সুদের হার বাড়িয়ে উচ্চহার সুদে ঋণ দিয়ে নিজেরা লাভবান হয়েছে, অন্যদিকে অনেক ব্যাংক তাদের অতিরিক্ত নগদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ মার্কিন ট্রেজারিতে রেখে দিয়েছে। সুদের হার বাড়ানোর কারণে এইসব গচ্ছিত বন্ডের মূল্য এখন মারাত্মকভাবে কমে গেছে।

 

 

 

 

 

আমেরিকার সিলিকন ভ্যালি ও সিগনেচারের পথ ধরে আরো ২০০ ব্যাংক পতনের ঝুঁকির মুখে ; গবেষণা রিপোর্ট

স্টাফ রিপোর্টার : ঝিনাইদহের মহেশপুরের যাদবপুর ডিপিজি মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্ত্বরে দরিদ্র মহিলাদের জন্য সমম্বিত পল্লী কর্মসংস্থান সহায়তা প্রকল্পে কিশোরীদের সচেতনামুলক প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

১৯ মার্চ রোববার সকালে যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সালাউদ্দীন আহাম্মেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কিশোরীদের সচেতনামুলক প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ-৩ আসনের এমপি শফিকুল আজম খান চঞ্চল।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহেশপুর থানার ওসি (তদন্ত) ইসমাইল হোসেন, উপজেলা বিআরডিবির অফিসার বাহারুল ইসলাম, ইরেসপো প্রকল্পের কর্মকর্তা প্রমেট চন্দ্র বর্মণ, ডিপিজি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদ।

পরে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রগতি বিদ্যা নিকেতন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তৌফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ এমপি শফিকুল আজম খান চঞ্চল।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর সুলতানুজ্জামান লিটন, যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সালাউদ্দীন আহাম্মেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান, ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী।

ঝিনাইদহের মহেশপুরের যাদবপুর হাইস্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করলেন এমপি চঞ্চল

স্টাফ রিপোর্টার : পুর্ব শত্রুতার কারণে প্রকাশ্য দিবালোকে এলাকার কতিপয় যুবক দেশীয় অস্ত্র হাতে নিয়ে মিন্টু মিয়ার বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে।

১৯ মার্চ রোববার সকাল ১০টার দিকে ঝিনাইদহের মহেশপুরের সেজিয়া গ্রামের মিন্টু মিয়ার বসত বাড়ির দু’টি ঘরের তারা ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়। তাদের হাতে অস্ত্র থাকার কারণে এলাকার কেউ সামনে এগিয়ে আসতে সাহস পায়নি।

এ ঘটনায় মিন্টু মিয়া বাদী হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে মহেশপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

থানার দায়ের করা অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, পুর্ব শত্রুতার কারণে সেজিয়া গ্রামের লাল মিয়া, অতিয়ার বিশ্বাস, আইয়ুব আলী বশ্বাস, মোজাফ্ফর, কামাল, জামাল, ইনু, আইয়ুব আলী, ইউছুফ আলী, সবুজ, আনিছুর রহমান, রফি উদ্দীন, মেহেদী হাসানসহ অজ্ঞাত আরো কয়েক জন দেশীয় অস্ত্র হাতে নিয়ে প্রকাশ্য দিকালোকে সেজিয়া গ্রামের মিন্টু মিয়ার বসত বাড়ির দু’টি ঘরের তারা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়।

মিন্টু মিয়া জানান, তাদের সাথে আমাদের বেশ কিছু দিন ধরে জমি-জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। এমনকি তারা আমাকে মারার জন্য চেষ্টাও করে যাচ্ছে।

ঝিনাইদহের মহেশপুরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বসত ঘর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে কতিপয় সন্ত্রাসী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মই হয়েছিল এই বাঙালি জাতিকে একটি আত্মপরিচয়, একটি স্বতন্ত্র জাতিসত্তা এবং একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র তৈরি করার জন্য।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

রোববার (১৯ মার্চ) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

সরকারপ্রধান বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেই এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে শুরু করে। ইতিহাস শুধু বিকৃত করা না, সম্পূর্ণ স্বাধীনতা আদর্শকে বিসর্জন দেয়। বাংলাদেশের মানুষ আবার সেই অন্ধকারে হারিয়ে যেতে বসে। ৭৫ থেকে ৯৬ সাল পর্যন্ত, আবার ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত; এই সময়টা যদি দেখেন বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে শুধু ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। ৯৬ সালে যতটুকু আমরা অর্জন করে গিয়েছিলাম, ২০০১ সালের নির্বাচনের দিন থেকে বিএনপি-জামায়াতের অত্যাচার, নির্যাতনের স্বীকার হয় আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মী। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে তারা আক্রমণ করে, হত্যা করে, চোখ তুলে নেয়, হাত কেটে দেয়, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়।

অত্যাচার আর নির্যাতনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে কেউ দমাতে পারেনি জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ একটা আদর্শ
নিয়ে এগিয়ে গেছে, বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-চেতনা নিয়ে এগিয়ে গেছে, এটা হচ্ছে বাস্তবতা। যে দল মাটি ও মানুষ থেকে গড়ে ওঠে তার শেকড় উপড়ে ফেলা যায় না।

বিএনপির কোনো শেকড় নেই মন্তব্য করে সরকারপ্রধান বলেন, এরা (বিএনপি) অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীর হাতে তৈরি। জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়িত্ববোধ নেই। জনগণের প্রতি তাদের কোনো আস্থাও নেই। যখনই ক্ষমতায় এসেছে জনগণের ভোট নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে, একটা লুটপাতের রাজত্ব কায়েম করেছে। এদেশে যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করা নিষিদ্ধ ছিল এই দেশে। কিন্তু জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ এবং ৩৮ এর আংশিক সংশোধন করে মার্শাল অর্ডিন্যান্স দিয়ে তাদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়। যারা যুদ্ধাপরাধী, যাদের বিচার শুরু হয়েছিল, তাদেরকেও জিয়াউর রহমান মুক্তি দিয়েছিল। এরপর তাদের দিয়ে রাজনৈতিক দল গঠন করায়। এমনকি সাত খুনের আসামিকেও রাজনীতি করার সুযোগ দেয়।

শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানের দোসরদের সঙ্গে এদেশীয় কিছু বেইমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে দেশের স্বাধীনতার চেতনা ধ্বংস করে। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেই চেতনা ফিরিয়ে আনে।

বাঙালি জাতির আত্মপরিচয় তৈরির জন্য বঙ্গবন্ধুর জন্ম : প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৬ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশের দিকে বাংলাদেশের যাত্রাকে নির্বিঘ্ন  করার জন্য দেশের শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি রমজান মাসের আগে কেউ যেন খাদ্য মজুদ এবং খাদ্যে ভেজাল দিতে না পারে এবং সমাজ থেকে মাদকের অপব্যবহার, কিশোর গ্যাং সংস্কৃতি এবং সাইবার অপরাধ নির্মূলে আরও মনোযোগী হতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি বিশেষ করে র‌্যাবকে সজাগ থাকতে নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “উন্নয়নশীল দেশ হিসেবেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমরা ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের যাত্রা শুরু করবো। এখন থেকেই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। সেই প্রস্তুতি নেয়ার জন্যই দেশের শান্তি ও নিরাপত্তা দরকার। দেশের উন্নয়ন দরকার এবং সেক্ষেত্রে শান্তি, নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা বাজায় রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে রাজধানীর কুর্মিটোলায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সদর দফতরে র‌্যাবের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান সুন্দরবনে সন্ত্রাসবাদ জঙ্গিবাদ এবং জলদস্যুতা মোকাবেলায় র‌্যাবের তৎপরতার ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি আশা প্রকাশ করেন, শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে যথাযথ দায়িত্বশীলতা, কার্যকারিতা এবং সক্রিয়তার সাথে এই বাহিনী অতীতের মতো ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত টানা ক্ষমতায় থাকাকালিন অগ্নি সন্ত্রাসসহ বিভিন্ন অপতৎপরতা মোকাবিলা করেও তাঁর সরকার দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে পেরেছে বলেই আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। কাজেই সেকথা মাথায় রেখেই সবাইকে চলার পরামর্শ দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ^াস করি এদেশের প্রতিটি শান্তিপ্রিয় নাগরিকের কাছে আজকে এলিট ফোর্স র‌্যাব নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক হিসেবেই চিহ্নিত হয়েছে। ‘বাংলাদেশ আমার অহংকার’ এই মূল মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্দিপ্ত হয়ে জনগণ ও সম্পদের নিরাপত্তা দিতে ভবিষ্যতেও এই বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্বশীল, কার্যকর ও সক্রিয় ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ^াস করি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিল, সে ঘোষণা বাস্তবায়ন করেছে উল্লেখ করে বলেন, ২০৪১ সালের বাংলাদেশ কেমন হবে তারই ভিত্তিতে তাঁর সরকার প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে এবং পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা স্মার্ট জনগোষ্ঠী গড়ে তুলবো, স্মার্ট অর্থনীতি হবে স্মার্ট বাংলাদেশে। সেই স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ বাস্তবায়ন করাটাই আমাদের লক্ষ্য। পাশাপাশি ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ কিভাবে গড়ে উঠবে সেজন্য ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ তাঁর সরকার দিয়ে যাচ্ছে। সবথেকে বড় কথা এটা বাস্তবায়ন করতে হলে শান্তি-শৃঙ্খলা ্একান্তভাবে দরকার।
তিনি বলেন, কিছু লোক থাকবেই সবসময় বিরোধিতা করতে। আর মাঝে মাঝে কিছু উল্টা-পাল্টা কথাও বলবে। এগুলো কানে না নিয়ে নিজের আত্মবিশ^াস নিয়ে, আত্মমর্যাদাবোধ নিয়ে আমরা আমাদের দেশের কল্যাণে সঠিক কাজ করছি কি না সঠিক পথে আছি কি না, এই চিন্তাটা নিজেই করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আত্মমর্যাদাবোধ নিয়ে যদি আমরা এগিয়ে য্ইা অবশ্যই বাংলাদেশের এই অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাওয়া কেউ বন্ধ করতে পারবেনা। আমরা বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসেবেই গড়ে তুলবো।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন বক্তব্য দেন।
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে র‌্যাবের কার্যক্রমের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারিও প্রদর্শিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রত্যেক নাগরিককে মনে রাখতে হবে, আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি, আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আমাদের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি এবং নির্বাচনী ইশতেহারের ঘোষণানুযায়ী ‘রুপকল্প-২০২১’ আমরা বাস্তবায়ন করতে সমর্থ হয়েছি।
র‌্যাব সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্রের স্যাংশন বিষয়ে না ঘাবড়ানোর পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে (নিষেধাজ্ঞা) আমি বলবো, কারো মনোকষ্ট হওয়া উচিত নয়। আমরা জানি কিছু দিন আগে একটি দেশ যেহেতু র‌্যাবের ওপর একটি স্যাংশন দিয়েছিল বলে অনেকেই প্রথমে ঘাবড়ে গিয়েছিল। আমি বলেছিলাম, এখানে ঘাবড়ানোর কিছু নেই।
তিনি বলেন, এটা আমাদের দেশ, আমরা রক্ত দিয়ে এর স্বাধীনতা এনেছি। কাজেই আমার দেশে যারা কাজ করে তারা কে কী করে-না করে সেটা আমরা জানি। বিচারটা আমরা করব, সেই আত্মবিশ্বাস রেখেই কাজ করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রথমে বোধ হয় সবার একটু মনটা খারাপ ছিল। এখন সেই চিন্তা আর নেই। আমি এটা বলতে পারি যারা এই ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে বাংলাদেশের বদনাম করে, বাংলাদেশের একেকটা প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, তাদেরকে আমাদের চিহ্নিত করতে হবে। তারা কোন উদ্দেশ্যে করছে সেটা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। ভালো মন্দের বিচার বাংলাদেশ সরকার করতে পারে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেহেতু আমি সরকারে আছি, আমি একটা কথা বলতে পারি, কে ভালো করল, কে মন্দ করল সেটার বিচার তো আমরাই করতে পারি, করে যাচ্ছি। পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশ করে না কিন্তু বাংলাদেশ করে। যেকোন অপরাধের কিন্তু বিচার হয়।
তিনি বলেন, কেউ যদি কোনো অপরাধ করে অবশ্যই সেটা আমরা নিজেরাই বলবো। পরের কথা শুনে কেউ মন খারাপ করবেন না। নিজের আত্মমর্যাদা বোধ নিয়ে চলতে হবে, আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলতে হবে। সেটাই সবচেয়ে বড় কথা।
বিরোধী কিছু শক্তি বিদেশে দেশের বদনাম করছে, উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, “আমরা জানি যে, দেশবিরোধী কিছু শক্তি আছে যারা বাংলাদেশ যত ভালো কাজই করুক না কেন তারা কিছুই চোখে দেখে না। আর আরেকটা শ্রেণি আছে, তাদের অভ্যাসটাই হলো বিদেশিদের কাছে যেয়ে বাংলাদেশের বদনাম করা।
এ ধরণের বদনাম করে বদনামকারিরা আর্থিক বা অন্যান্য সুবিধাও পেতে পারে মর্মে নিজস্ব অভিমত ব্যক্ত করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের কোনো উন্নতি তাদের চোখেই পড়ে না।
সরকার প্রধান বলেন, র‌্যাবকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে র‌্যাব সদস্যরা আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। জঙ্গি দমনে র‌্যাব বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালিন বাংলাদেশ জঙ্গিবাদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছিল। মানুষ খুন, আওয়ামী লীগ নেতাদের হত্যার পর গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখা আমরা দেখেছি। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর জঙ্গিবাদকে জিরো টলারেন্স হিসেবে ঘোষণা করে।

শেখ হাসিনা বলেন, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। জঙ্গিবাদ কখনও কোনো দেশের উন্নতি করতে পারে না।
তিনি বলেন, মাদক, অগ্নিসন্ত্রাস, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জঙ্গিবাদ দমনসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে র‌্যাবের বলিষ্ঠ ভূমিকা রয়েছে। পাহাড়েও জঙ্গিদের বিরুদ্ধে র‌্যাব দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক ধরতে সক্ষম হয়েছে। সুন্দরবনের জলদস্যু পরিবারগুলোকে পুণর্বাসনে সুন্দরবনের হাসি নামক একটি পুণর্বাসন কর্মসূচি র‌্যাবের তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়ন হচ্ছে।
যারা জঙ্গিবাদে যোগ দেয় তাদের মটিভেশন দরকার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘ডি র‌্যাডিকালাইজেশন এন্ড রিহ্যাবিলেটেশন প্রোগ্রাম’  (নব দিগন্তের পথে) এর মাধ্যমে অপরাধিদের মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন ঘটিয়ে তাদের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। প্রায় ৪২১ জন জলদস্যু ও জঙ্গির পুণর্বাসন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এভাবে অপরাধ দমন ও মানবিক দিকসহ বহুমুখি কর্মপন্থা নিয়ে র‌্যাব কাজ করে যাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির পর অস্ত্রধারিদের অস্ত্রসমর্পন এবং তাদের পুনর্বাসনের উল্লেখ করে সরকার প্রধান, যারাই যখন আত্মসমর্পন করবে তাদের পুনর্বাসন করতে হবে।
তিনি বলেন, সুন্দরবন দস্যুমুক্ত করতে অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে অভিযান পরিচালনা করেছে র‌্যাব। তবে এখনো নজরদারি রাখতে হবে, যাতে নতুন করে কেউ আবার এমন কিছু না করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিশোর গ্যাং’ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে, এখানে বাবা-মা’রও দায়িত্ব রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষক এবং জনপ্রতিনিধিদেরও দায়িত্ব রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন এবং যে কোন ধরনের অপসংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধেও তিনি ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, সাইবার ক্রাইমের বিরুদ্ধেও আমাদের যথাযথ সতর্ক থাকতে হবে এবং ব্যবস্থা নিতে হবে। র‌্যাবসহ আমাদের সকল গোয়েন্দা সংস্থাকে যথাযথ ভূমিকা নিতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি মানুষের কল্যাণের জন্য, অকল্যাণের জন্য নয়। এই কথাটা সবাইকে মনে রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের আরেকটা বোঝা হচ্ছে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা। প্রতিনিয়ত সেখানে নানা ধরনের অপরাধ ঘটছে। এ ব্যাপারেও সকলের আরও নজর দিতে হবে যেন কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে না পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রমজান হলো কৃচ্ছ্রতার মাস। আমাদের দেশে একটা অদ্ভুত ব্যাপার হলো রমজানে কিছু মানুষের মুনাফা লাভের অভিলাষ বেড়ে যায়। সাধারণ মানুষের যেন কষ্ট না হয়, সেদিকে সবাই নজর না দিয়ে বরং এর উল্টোটা ঘটে।
র‌্যাব সদস্যদের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, রমজান এলে আরেকটি কাজ হয়, সেটি হলো খাদ্যে ভেজাল দেয়া। এছাড়া নকল প্রসাধনী এবং জাল মুদ্রা তৈরির চক্র সক্রিয় হয়। এসবের বিরুদ্ধে র‌্যাব প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হয়েছে। আমরা এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। মজুতদারি যাতে কেউ করতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, কোনো মানুষের খাদ্যে যাতে কষ্ট না হয়, সে ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বের অনেক দেশই হিমশিম খাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এখনো সে পর্যায়ে যায়নি, যাবেও না। তবে, দেশের প্রতি ইঞ্চি জমি চাষের আওতায় এনে তিনি সার্বিক উৎপাদন বাড়ানোর এবং কৃচ্ছতা সাধনে আহবান পুণর্ব্যক্ত করেন।

 

উন্নত বাংলাদেশের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : কিশোর গ্যাং যে কোন মূল্যে বন্ধ করতে হবে, সেজন্য অভিভাবক, শিক্ষক ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে কার্যকর ভূমিকা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার সকালে কুর্মিটোলায় র‌্যাব ফোর্সেসের সদর দপ্তরে ১৯ত প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে এই নির্দেশ দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আজ বাংলাদেশ একটি বদলে যাওয়া দেশ। দেশ উন্নয়নে কারো সমালোচনায় কান না দিয়ে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

রোজার মাসে সবাইকে সংযম করার কথা জানিয়ে অবৈধ মুনাফার লোভে জনভোগান্তি না বাড়াতে ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে র‌্যাবের ভূমিকার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।

 

যে কোনো মূল্যে কিশোর গ্যাং বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ